বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠানোর দুই দিনের মাথায় শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইউটিউব থেকে তুলে নেওয়া হলো ‘বীর সৈনিক’ ছবিটি। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও গণমাধ্যমকর্মী মাকসুদুল হক ইমু গত ৩ সেপ্টেম্বর এই নোটিশ পাঠান ছবির পরিচালক-রচয়িতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, প্রযোজক সিস মিডিয়ার এম এন ইস্পাহানী (ইস্পাহানী আরিফ জাহান) ও ইউটিউব স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীরকে (লাভা মুভিজ)।
নোটিশে অভিযোগ করেন, ১৭ বছর আগে মুক্তি পাওয়া মান্না-মৌসুমী অভিনীত ‘বীর সৈনিক’ সিনেমাটির কোথাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমার কোথাও ৭ মার্চের উল্লেখ নেই। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের কি কোনও গুরুত্ব ছিলো না? নাকি ৭ মার্চ না এসেই হঠাৎ করে ২৬ মার্চ এসেছিল?
এই সিনেমার সবচেয়ে বিকৃত ও বাজে দৃশ্য হলো, একটি জায়গায় নায়ক মান্নাকে এক অভিনেতা বলছেন— ‘চিটাগাং রেডিওতে আমাদের বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’ এর মানে পরিচালক বলতে চাইছেন— ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’! এটা কি ইতিহাসের বিকৃতি নয়?’
এ প্রসঙ্গে ইমু বলেন, আইনি নোটিশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টরা ইউটিউব থেকে ছবিটি সরিয়ে ফেলেছেন। আমি বলছি না, ছবিটি সরিয়ে ফেলতে হবে। দাবি একটাই ছিলো, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি যেন না হয়। তথ্য ঠিক করে ছবিটি সবখানেই উন্মুক্ত হতে পারে।
বিজনেস আওয়ার/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ