ঢাকা , শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাস্ট লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ১৮ শতাংশ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণে

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • 40

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০২২ সালে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে কোম্পানিটির অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৭ শতাংশ খরচ কম হয়েছে।

এই কোম্পানিটির শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহে আবেদন শুরু আগামী ৩ এপ্রিল। যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়ায় বিমা কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

জানা গেছে, ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষ বা নতুন প্রিমিয়াম ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর আগে ২০২১ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৩০ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০২২ সালে বীমা কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১৭.৬৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালে অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৭.০৬ শতাংশ কম খরচ করেছে চতুর্থ প্রজন্মের লাইফ বীমা কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ।

২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২৬.২৪ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এছাড়াও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের সম্পদ বেড়েছে ১২ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ কোটি টাকা।

২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন ধরনের বীমা দাবি পরিশোধ করেছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এসব বিষয়ে বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ শুরু থেকেই বীমা আইন- ২০১০ সহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আদেশ-নির্দেশের আলোকে পরিচালিত হয়ে আসছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনায় সুপরিকল্পিতভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা গ্রাহক সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এসবি ও ম্যাচ্যুরিটি প্রতিদিনের দাবি প্রতিদিন পরিশোধসহ ১৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুদাবি পরিশোধ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২১ মার্চ, ২০২৩/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ট্রাস্ট লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ১৮ শতাংশ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণে

পোস্ট হয়েছে : ০২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০২২ সালে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে কোম্পানিটির অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৭ শতাংশ খরচ কম হয়েছে।

এই কোম্পানিটির শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহে আবেদন শুরু আগামী ৩ এপ্রিল। যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়ায় বিমা কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

জানা গেছে, ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষ বা নতুন প্রিমিয়াম ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর আগে ২০২১ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৩০ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০২২ সালে বীমা কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১৭.৬৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালে অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৭.০৬ শতাংশ কম খরচ করেছে চতুর্থ প্রজন্মের লাইফ বীমা কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ।

২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২৬.২৪ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এছাড়াও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের সম্পদ বেড়েছে ১২ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ কোটি টাকা।

২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন ধরনের বীমা দাবি পরিশোধ করেছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এসব বিষয়ে বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ শুরু থেকেই বীমা আইন- ২০১০ সহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আদেশ-নির্দেশের আলোকে পরিচালিত হয়ে আসছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনায় সুপরিকল্পিতভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা গ্রাহক সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এসবি ও ম্যাচ্যুরিটি প্রতিদিনের দাবি প্রতিদিন পরিশোধসহ ১৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুদাবি পরিশোধ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২১ মার্চ, ২০২৩/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: