বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস। তারপর প্রেমিকার নগদ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হওয়া যুবককে নাগালে পেয়ে জনসম্মুখে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান প্রেমিকা।
পাবনার ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওনকে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত ৭ টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে আটক করে তার প্রেমিকা ও জনতা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
অভিযুক্ত শাওন ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে।
রূপার ভাষ্যমতে, চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে তিন বছর আগে পরিচয় হয় তার। সে সময় শাওন ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই পরিচয়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ধর্ষণ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিলে শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে আমার মাসহ আমাকে তার বাড়িতে আনেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে আমাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। শাওন এ সুযোগে আমার সঙ্গে অবাধে মেলামেশা শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, তাকে বিয়ে জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার সময় সংবাদকে বলেন, এ ঘটনার কথা জেনেছি। থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
বিজনেস আওয়ার/২৩ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ