ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 73

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলাটি রেকর্ড করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী রংপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রনি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে। তারপরও বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। পরে তার বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে তাকে বিয়ে দেখানো হয়। এরপর রাতে বাসরঘর বানিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, রনি এরইমধ্যে ৬ বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। যার ফলে সামনে ছাত্রলীগে জায়গা না পাওয়ার আশঙ্কায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া। সে জন্য ২০ লাখ জোগাড় করে দিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

এদিকে ভুয়া বিয়ের কথা জানার পর ধর্ষিতা রনিকে আবারও বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তাকে কেরানিপাড়ার বাসায় নিয়ে রাত্রি যাপন করে এবং ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। উল্টো রনি তাকে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়।

মেয়েটির অভিযোগ, প্রশাসন তার কথা মতো চলে। এত কিছুর পরও রনির সঙ্গে সংসার করতে মিনতি জানায় মেয়েটি। এরপর গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকার ফুফুর বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে যায় রনি। সেখানে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোনও বিয়ে হয়নি, রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনও কাবিননামাও নেই। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে সে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ধর্ষিতা পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। এরপর থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলাটি রেকর্ড করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী রংপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রনি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে। তারপরও বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। পরে তার বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে তাকে বিয়ে দেখানো হয়। এরপর রাতে বাসরঘর বানিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, রনি এরইমধ্যে ৬ বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। যার ফলে সামনে ছাত্রলীগে জায়গা না পাওয়ার আশঙ্কায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া। সে জন্য ২০ লাখ জোগাড় করে দিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

এদিকে ভুয়া বিয়ের কথা জানার পর ধর্ষিতা রনিকে আবারও বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তাকে কেরানিপাড়ার বাসায় নিয়ে রাত্রি যাপন করে এবং ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। উল্টো রনি তাকে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়।

মেয়েটির অভিযোগ, প্রশাসন তার কথা মতো চলে। এত কিছুর পরও রনির সঙ্গে সংসার করতে মিনতি জানায় মেয়েটি। এরপর গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকার ফুফুর বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে যায় রনি। সেখানে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোনও বিয়ে হয়নি, রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনও কাবিননামাও নেই। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে সে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ধর্ষিতা পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। এরপর থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: