বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) জমা দেয়া হবে। চার দফা সময় বাড়ানোর পর ৩৫ দিনের মাথায় জমা হচ্ছে তদন্ত প্রতিবেদন। ৮০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে ১২ সুপারিশও যুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার উৎস সম্পর্কে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। এ ধরনের ঘটনার অবতারণা যেন আর না হয়, সে ব্যাপারেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে একটি সুপারিশমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। দুটিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক এমন প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, এই প্রশ্নের জবাব সুন্দরভাবেই তদন্ত প্রতিবেদনে দেওয়া আছে। সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সরকার চাইলে মিডিয়াকে এই প্রশ্নের উত্তর দেবে। কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না
তদন্ত কমিটির সদস্য লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনা সবার বিবেককে ব্যথিত করেছে। আইনের রক্ষক হয়ে আমরা যেন ভক্ষকে পরিণত না হই। সরকার অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তা যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করতে পারি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও পেশাদারিত্ব, চেইন অব কমান্ড মেনে চলা উচিত।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে মেজর সিনহাকে হত্যার ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ গুলি করার মতো পরিবেশ বা পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়নি। ঘটনার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আচরণ ও ব্যবহার ছিল অমানবিক।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ হত্যার ঘটনায় গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পর দিন তদন্ত কমিটি ৪ সদস্য বিশিষ্ট করে পুনর্গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে।
বিজনেস আওয়ার/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ