বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে শাবান মাসের শেষে আসে পবিত্র মাহে রমজান। অসংখ্য ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ মাস এটি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পক্ষ থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে মহামূল্যবান নেয়ামত স্বরূপ রমজান উম্মতের জন্য অব্যাহত রয়েছে, যার সুফল সঠিকভাবে ও পূর্ণ নিষ্ঠা-একাগ্রতা-পরিশ্রমের মাধ্যমে লাভ করা মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের জন্য অপরিহার্য।
ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় হিজরি সালের রমজান মাসে রোজা পালন ফরজ করা হয়। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে নয়টি রমজান পেয়ে সিয়াম বা রোজা পালন করেছেন। কারণ রমজানের রোজা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ করা হয়েছিল এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাদশ হিজরি বছরের রবিউল আউয়াল মাসে ওফাত লাভ করেন।
মুমিনদের জন্য চরম সৌভাগ্য যে, তাদের ইহকালীন জীবনকে আলোকিত ও পরকালীন জীবনকে কল্যাণময় করার অবারিত সুযোগ নিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রমজান মাস দিয়েছেন। এই মহতী মাসের যাবতীয় নেয়ামতকে সকল প্রকার ভুল-ভ্রান্তি ও ত্রুটির ঊর্ধ্বে রেখে পরিপূর্ণভাবে পালন ও হাসিল করার এই মহার্ঘ সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মধ্যেই মানবজীবনের সার্বিক সার্থকতা ও সফলতা নিহিত। মাহে রমজানের সূচনাতেই পুরো মাসের দিন ও রাতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে অত্যন্ত সচেতনভাবে তৈরি হওয়া দরকার এবং বিশুদ্ধ আমল ও আখলাকের আলোকে কোরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত পন্থায় একনিষ্ঠভাবে তৎপর হয়ে সফলতা প্রাপ্ত হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিজনেস আওয়ার/১ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ