বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সবাই আমাদেরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় নতুন বোর্ডের কাছে ডেটা সেন্টার এবং ডিজাস্টার রিকভারি সাইট বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর নেতৃত্বে সোমবার ডিএসইর নব-গঠিত পরিচালনা পর্ষদ শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সাথে আগারগাঁয়ে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ওই সাক্ষাতে তিনি (শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম) এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুল হালিম, ড. রুমানা ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।
ডিএসইর নব-গঠিত পরিচালনা পর্ষদকে স্বাগত জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ডিএসইর নতুন চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা যার যার অবস্থানে অত্যন্ত অভিজ্ঞ৷ নতুন চেয়ারম্যানের গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান পুঁজিবাজারের সকল প্রতিকুলতা অতিক্রম করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা করি। পুজিবাজার উন্নয়নে সরকার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সবাই আমাদেরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সমস্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন আমাদের পুঁজিবাজারের প্রতি খুবই সদয়। আমাদের সরকার প্রধান অসম্ভব সদয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সব রকম সহযোগীতা করছে। কোন কিছু বললেই করে দেয়৷
আশাবাদ ব্যক্ত করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ডিএসইর পুরনো এবং নতুন পরিচালকদের সমন্বয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাজারকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এসময় নতুন বোর্ডের কাছে ডেটা সেন্টার এবং ডিজাস্টার রিকভারি সাইট বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে এ বিষয়ে দ্রত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
সাক্ষাতে অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, ডিএসইতে একটা আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ব্যবস্থা থাকা দরকার, একটা স্মার্ট সিস্টেম থাকা দরকার। এই জায়গাটায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। উন্নত বিশ্বের যত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, তারা বেশীর ভাগই অটোমেশন করে ফেলেছে স্মার্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে।
ডিএসইর আইসিটি হতে হবে অত্যাধুনিক জানিয়ে হাসান বাবু বলেন, বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদেরও সবকিছু অটোমেটেড হতে হবে। আমাদের আইটি হতে হবে নাম্বার ওয়ান। আমাদের আইসিটি শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয়, সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নাম্বার ওয়ান হতে হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অংশগ্রহণে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। যেখানে ইন্ডাস্ট্রির লোক থাকবে, একাডেমিশিয়ান থাকবে এবং ডিএসইর লোক থাকবে। সবাই মিলে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আগাবে। কোথায় আমাদের শুরু করতে হবে, কোথায় যেতে হবে এ সবই আমাদের পরিকল্পনায় থাকবে।
আরও বলেন, আমরা যারা এই নব-নির্বাচিত বোর্ডে যোগদান করছি, আমাদের পার্সোনাল কোন এজেন্ডা নেই। আমাদের উদ্দেশ্য বাজারে ভালো কোম্পানি আনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদদির মাধ্যমে এই মার্কেট এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য। আমরা এখানে সকলের সাথে সমন্বয় করে এই পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে নিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের বড় ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জিডিপিতে বাজার মূলধনের পরিমান বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারলে সেটাই হবে আমাদের বড় অর্জন।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. সিদ্দিকুর রহমান, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, সিনিয়র জিএম এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান প্রমুখ।
বিজনেস আওয়ার/২ এপ্রিল, ২০২৩/এমএজেড