বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দূর্বল ব্যবসার কোম্পানি সমতা লেদার কমপ্লেক্স। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাওয়া এই কোম্পানিটির শেয়ার নিয়েই মাঝেমধ্যে হয় খেলাধূলা। শুধুমাত্র স্বল্পমূলধনী বা অল্প শেয়ারের কোম্পানি ভিত্তি করে ওই খেলাধূলা হয়। যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাব বানায় নিজেদের মতো করে। যেখানে গায়েবি মজুদ পণ্য দেখানোর মতো তথ্যও থাকে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সমতা লেদার কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে পরিদর্শনে কোন আইটেমভিত্তিক তালিকা ও পণ্য মূল্য পাওয়া যায়নি। এমনটি ছাড়াই গায়েবি মজুদ পণ্য দেখিয়েছে সমতা লেদার কর্তৃপক্ষ।
এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৭ অনুযায়ি সঠিকভাবে নগদ প্রবাহ হিসাব করেনি। এর মাধ্যমে তারা শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ হিসাবে (এনওসিপিএস) বেশি দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
সমতা লেদার কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন অনুযায়ি, ওয়ার্কাস প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) টাকা বিতরন করেনি।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সমতা লেদার কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে পণ্য রপ্তানি করেছে বলে উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার দর ওঠানামা করায় মুনাফা বা লোকসান হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তারা আর্থিক হিসাবে আইএএস-২১ এর প্যারা ২৮ অনুযায়ি বৈদেশিক মুদ্রা ওঠানামার জন্য মুনাফা বা লোকসানের কোন হিসাব করেনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সমতা লেদার কমপ্লেক্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৬.১২ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (০৫ এপ্রিল) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/০৬ এপ্রিল, ২০২৩/আরএ