ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাল সনদে চাকরি, ৩ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • 135

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জাল প্রশিক্ষণ সনদপত্র দেখিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার চাকরি নিয়ে দুর্নীতির মামলার আসামি হয়েছেন তিন কর্মকর্তা।

প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে উপস্থাপন করে প্রতিবন্ধী সনদ নিয়েছেন একজন। সেই সনদে চাকরিও নিয়েছেন। আর ভূয়া আনসার ভিডিপি কোটায় চাকরি নিয়েছেন দুজন। মামলায় তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি ও বেতন-ভাতা বাবদ সাড়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন। এসব দুর্নীতি করেছেন তিন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে উপস্থাপন করে বরিশালের ঠিকানা গোপন করেন। ময়মনসিংহ থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী সনদ নেন। প্রতিবন্ধী কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন। পরে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট তার প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল করে মুক্তাগাছা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কার্যালয়।

আহসান হাবিব পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেন। আনসার ভিডিপি কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।

বিপাশা খাতুন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র তৈরি করেন। আনসার ভিডিপি কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।

বেতন-ভাতা হিসাবে তারা মোট ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ টাকা গ্রহণ করেছেন। মামলায় যা আত্মসাৎ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আনসার ভিডিপি সনদপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৬এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

জাল সনদে চাকরি, ৩ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জাল প্রশিক্ষণ সনদপত্র দেখিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার চাকরি নিয়ে দুর্নীতির মামলার আসামি হয়েছেন তিন কর্মকর্তা।

প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে উপস্থাপন করে প্রতিবন্ধী সনদ নিয়েছেন একজন। সেই সনদে চাকরিও নিয়েছেন। আর ভূয়া আনসার ভিডিপি কোটায় চাকরি নিয়েছেন দুজন। মামলায় তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি ও বেতন-ভাতা বাবদ সাড়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন। এসব দুর্নীতি করেছেন তিন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে উপস্থাপন করে বরিশালের ঠিকানা গোপন করেন। ময়মনসিংহ থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী সনদ নেন। প্রতিবন্ধী কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন। পরে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট তার প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল করে মুক্তাগাছা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কার্যালয়।

আহসান হাবিব পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেন। আনসার ভিডিপি কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।

বিপাশা খাতুন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র তৈরি করেন। আনসার ভিডিপি কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।

বেতন-ভাতা হিসাবে তারা মোট ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ টাকা গ্রহণ করেছেন। মামলায় যা আত্মসাৎ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আনসার ভিডিপি সনদপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৬এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: