আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রোজ রাতে এক পেগ মদ লাগবেই! গত কয়েকমাস ধরে এটাই ছিল নিউ জিল্যান্ডের এক কুকুরের রুটিন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ক্রমশই মদে আসক্ত পড়ে দু’বছরের কুকুর ল্যাবরেডর।
বর্তমানে সে একটি অ্যানিমাল রেসকিউ সেন্টারে চিকিৎসাধীন। নেশা মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে কুকুরটির। পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরণের ঘটনা নজিরবিহীন।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিউ জিল্যান্ডের ডেভন শহরের উডসাইড অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টারে বর্তমানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ল্যাবরেডর।
জানা যায়, মালিক রোজ মদ খাওয়ার পর কিছুটা করে ফেলে রাখতেন গ্লাসে। কৌতুহল বশত সেই ফেলে রাখা মদ একদিন চেখে দেখে কুকুরটি। তারপর থেকে প্রতিদিন কুকুরটি অপেক্ষা করত কখন তার মালিক মদের গ্লাস ফেলে ঘুমোতে যাবে। এভাবেই চলতে থাকে মাসের পর মাস। ক্রমশই মদের নেশা ধরে যায় এই ল্যাবরেডরের।
এরপর একদিন আচমকাই মৃত্যু হয় কুকুরটি মালিকের। মাত্র দুই বছরের এই ল্যাবরেডর অতিরিক্ত হিংস্র হয়ে উঠেছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ত। মদ না পেলে হাতের কাছে যাকে পেত কামড়ানোর চেষ্টা করত।
তবে বর্তমানে সে ফিট এবং বিপদমুক্ত। রিহ্যাব সেন্টারে অন্য সারমেয়রদের সঙ্গে দিব্যি খেলে বেড়াচ্ছে। নেশাও কেটে গিয়েছে তার। আর পাঁচটা ল্যাবরেডরের মতো স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করছে। মানসিক পরিবর্তনও হয়েছে কোকোর। তবে কোকোর এই কাণ্ড এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না পশু চিকিৎসকরা। গত চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রিহ্যাবে রয়েছে সে।
বিজনেস আওয়ার/৯ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ