বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কয়েকদিন পর হতে যাচ্ছে ঈদ। যাতে অন্য সবার ন্যায় বিনিয়োগকারীদেরও প্রয়োজন টাকা। কিন্তু ফ্লোর প্রাইসের কারনে দীর্ঘদিন ধরে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন বন্ধ হয়ে রয়েছে। এছাড়া যেসব কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের উপরে ছিল, সেগুলো ধারাবাহিক পতনে রয়েছে। তাই চাইলেই বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রয়োজনে শেয়ার বেঁচে টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৪৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের কার্যদিবস সোমবার হয়েছিল ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বা ৫.৭৪%।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬১৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ২ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৪৩ পয়েন্টে এবং ২১৯৯ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৪টির এবং কমেছে ৭৮টির। আর শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ১৮৩টির।
এদিন ডিএসইতে আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেনের শীর্ষে কোম্পানিটি স্থান পায়। এদিন আমরা নেটওয়ার্কের ২৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার, এপেক্স ফুটওয়্যারের ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, জেমিনি সী ফুডের ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ও জেনেক্স ইনফোসিসের ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৪৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮২৭৯ পয়েন্টে।
বিজনেস আওয়ার/১১ এপ্রিল, ২০২৩/এমএজেড