বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দুবাই প্রবাসী সোহেল রানা দেশে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করতে। তবে ঈদ আর করা হলোনা তার। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের ছুরির আঘাতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন সোহেল রানা (৩০)।
নিহত সোহেল রানা যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের লেল্টু বিশ্বাসের ছেলে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একই ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী খুশি মিমকে আনতে যাবার পথে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক ফারাবির (২০) হাতে খুন হন সোহেল। ঘাতক ফারাবি দেয়াড়া ইউনিয়নের আলমনগর খালপাড় এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহত সোহেল রানার ভাইপো রিসান বলেন, আমার চাচা-চাচিকে আনতে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কামারবাড়ি ব্রিজের উপর পৌঁছালে চাচির পরকীয়া প্রেমিক ফারাবি চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি চাচার মুখে এবং পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ফারাবি চাচার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চাচাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহেল রানার বড় ভাই শাকিল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার ছোট ভাই সোহেল রানার স্ত্রীর সঙ্গে ফারাবির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। আমার ভাই বিদেশ থেকে দেশে ফেরার আগেও তাকে ফোন করে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দিয়েছে ফারাবি। আমার ছোট ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভাইয়ের স্ত্রী এবং ওই প্রেমিক ফারাবি জড়িত। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আজ আমার ২ বছরের ভাইপোটা এতিম হয়ে গেছে।
স্ত্রী খুশি মিম বলেন, আমার স্বামীকে ফারাবি কী কারণে মেরেছে তা আমি বলতে পারি না। আমি হঠাৎ খবর পাই যে আমার স্বামীকে কারা কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে গেছে। আমার স্বামী আর বেঁচে নেই।
নিহতের শ্বশুর আব্দুল আলিম বলেন, আমার জামাই আমাকে ফোন করে জানায় যে সে মেয়ে নিতে আসছে। পরে আমরা তার দেরি দেখে খোঁজ নিতে থাকি। এরমধ্যে খবর পাই আমার জামাইকে পথিমধ্যে ফারাবি নামের একটি ছেলে কুপিয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি আমার জামাই আর নেই।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ফারাবি নামে এক ছেলের সঙ্গে নিহত সোহেল রানার স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা দুই জনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকে পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযানে নেমেছে।
বিজনেস আওয়ার/১৩ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ