বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার, যাকে তার শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল, তিনি বিমানের তদন্ত সংস্থার সামনে হাজির না হয়েই দেশ ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করে নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দাবি করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দেওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী।
সম্প্রতি তদন্তের পর তার লাইসেন্সটি স্থগিত করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। লাইসেন্স স্থগিতের বিষয়টি তাকে চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডোর শাহ কাউসার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মার্চ মাসের ১ তারিখে একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বেবিচক আপনার কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স- সিপিএল#৪৭০ স্থগিত করা হলো।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট হওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চ মাধ্যমিকের সময় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তা স্বত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন।
এদিকে লাইসেন্স স্থগিতের চিঠি পাওয়ার আগেই দেশ ছেড়েছেন সাদিয়া আহমেদ। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে একটি ই-মেইল করেন। সেখানে তিনি নিজেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ দাবি করে দেশ ছেড়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
বিজনেস আওয়ার/১৫ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ