ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কড়ায় গণ্ডায় লভ্যাংশ আদায় হবে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • 38

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের পাওনা লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ড) এক টাকাও ছাড় দেওয়া হবে না। সুদে আসলে সব আদায় করা হবে। কোন অজুহাত শোনা হবে না। লভ্যাংশ ফেরত না দিলে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবো।

গতকাল রবিবার শেয়ারবাজারে বর্ষবরণের আমেজে নবতর উদ্ভাবন সিএমএসএফের তহবিল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বার্ডোর সাবেক চেয়ারম্যান ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

অন্যের আমানত ধরতে হয় না জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি। কিন্তু শেয়ারজারের এখানে উল্টো আমানতের দিকেই নজর থাকে। এজন্য কেউ কাউকে ধার দিতে চায় না। বিশ্বাস করতেও চায় না। সবাই ভয় পায়, রিটার্ন আসবে তো। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ পাবার জন্য। বছর শেষে সেই লভ্যাংশ তাদের কাছে যাচ্ছে না। তারা পাচ্ছেও না। বিভিন্নভাবে রয়ে যাচ্ছে অন্য কোথায়। দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীর লভ্যাংশ না দিয়ে অন্য কোথায় বিনিয়োগ বা ব্যবহার হচ্ছে। মেরে খাচ্ছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের খাতে ব্যয় করছে। দেশে বিদেশে গাড়ী কিনছে, বাড়ী বানাচ্ছে। আসলটা করছেন না। সব হচ্ছে কিন্তু যার লভ্যাংশ তাকে দিচ্ছেন না। কিন্তু কথা হলে এটা তো অন্যের আমানত। সেটা বেমালুম ভূলে যান। এ ধরনের মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সবাই বলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নাই জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বিনিয়োগের লভ্যাংশ পাচ্ছে না বা লভ্যাংশ দেওয়ার বিনিয়োগকারী খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সেই মুনাফা অলসভাবে পড়ে আছে। যা ব্যবহার হচ্ছে না। এমন অর্থ পরিমান ২১ হাজার টাকা মতো আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। সেই অর্থ বা লভ্যাংশ সঠিক ব্যবহারের জন্য আমরা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করি। এরপর দেখি, তারা অটোভাবেই বিনিয়োগকারীদের খুজে পাচ্ছে। তাদের পাওনা আমানত ফেরতও দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এরপরও এই পযর্ন্ত ১ হাজার কোটি টাকার মতো লভ্যাংশ আদায় হয়েছে। আরো লভ্যাংশ আসার পথে রয়েছে।

তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, বিনিয়োগকারীদের না দেওয়া লভ্যাংশ আদায়ে কোম্পানিগুলোতে দফায় দফায় তাগিদ দিচ্ছি। অপরদিকে তারাও দফায় দফায় সময় নিচ্ছে। কিন্তু লভ্যাংশ দেবার নাম নেয় না। এরপর আমরা অনেক ভাল ব্যবহার করছি। ধৈর্য ধরে আছি। সময়ও দিচ্ছি। প্রতিষ্ঠানের নাম খারাপ হবে ভেবেই সময় পাচ্ছে। এরপর আপনারা লভ্যাংশের অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না। কিন্তু এখন আমাদের কঠোর হবার সময় হয়েছে। আপনারা সতর্ক হোন। সামনে দিনে এই সুযোগ আর পাবেন না। আমাদের বিএসইসির বোর্ড সভায় সামনে এবিযয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিবো। বিনিয়োগকারীদের পাওনা লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ড) এক টাকাও ছাড় দেওয়া হবে না। সুদে আসলে সব আদায় করা হবে। কোন অজুহাত শোনা হবে না। লভ্যাংশ ফেরত না দিলে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, লভ্যাংশ বাবদ বীমায় ৭০ কোটি টাকা রয়েছে, শুনা যাচ্ছে। কিন্তু কোথায়, কিভাবে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি, অবন্টিত লভ্যাংশ যথা স্থানে ফিরিয়ে দিতে। এই ব্যাপারে আমি সিএমএসএফকে সব ধরনের সহায়তা করবো। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের অনেক বীমা কোম্পানি দেউলিয়া হবার পথে। সেইসব কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর রাস্তা বের করার আহবান রাখেন।

শেয়ারবাজারকে জোর করে উঠানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই শেয়ারবাজারকে টেনে টুনে উঠানো চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটাতো টেনে তোলার জিনিস না। এটাতে স্বাভাবিক নিয়মে চলতে দিন।

সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান শেয়ারবাজার ভাইব্রেন্ট। সামনে আরো ভাইব্রেন্ট হবে। সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের দাবি আদায়ে কাজ করছি। বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পতি হচ্ছে। এটা চলমান থাকবে। অবন্টিত লভ্যাংশ আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেষ্টা করছি অলস পড়ে থাকা লভ্যাংশ খুজে বের করতে। এই ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছি। এরই লক্ষে ব্যাংক-বীমার বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে, সিএমএসএফ ইতোমধ্যে ৫৩৭ বিনিয়োগকারীর নগদ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮২ টাকা এবং ২০৩ জন বিনিয়োগকারীর ২ লাখ ৪ হাজার ২০৪টি শেয়ারের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ৬৪ জন বিনিয়োগকারী ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৩২ টাকা এবং ৪৮ জন বিনিয়োগকারীর ৬২ হাজার ৫৫৬টি শেয়ারের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/১৭ এপ্রিল, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কড়ায় গণ্ডায় লভ্যাংশ আদায় হবে

পোস্ট হয়েছে : ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের পাওনা লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ড) এক টাকাও ছাড় দেওয়া হবে না। সুদে আসলে সব আদায় করা হবে। কোন অজুহাত শোনা হবে না। লভ্যাংশ ফেরত না দিলে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবো।

গতকাল রবিবার শেয়ারবাজারে বর্ষবরণের আমেজে নবতর উদ্ভাবন সিএমএসএফের তহবিল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বার্ডোর সাবেক চেয়ারম্যান ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

অন্যের আমানত ধরতে হয় না জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি। কিন্তু শেয়ারজারের এখানে উল্টো আমানতের দিকেই নজর থাকে। এজন্য কেউ কাউকে ধার দিতে চায় না। বিশ্বাস করতেও চায় না। সবাই ভয় পায়, রিটার্ন আসবে তো। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ পাবার জন্য। বছর শেষে সেই লভ্যাংশ তাদের কাছে যাচ্ছে না। তারা পাচ্ছেও না। বিভিন্নভাবে রয়ে যাচ্ছে অন্য কোথায়। দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীর লভ্যাংশ না দিয়ে অন্য কোথায় বিনিয়োগ বা ব্যবহার হচ্ছে। মেরে খাচ্ছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের খাতে ব্যয় করছে। দেশে বিদেশে গাড়ী কিনছে, বাড়ী বানাচ্ছে। আসলটা করছেন না। সব হচ্ছে কিন্তু যার লভ্যাংশ তাকে দিচ্ছেন না। কিন্তু কথা হলে এটা তো অন্যের আমানত। সেটা বেমালুম ভূলে যান। এ ধরনের মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সবাই বলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নাই জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বিনিয়োগের লভ্যাংশ পাচ্ছে না বা লভ্যাংশ দেওয়ার বিনিয়োগকারী খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সেই মুনাফা অলসভাবে পড়ে আছে। যা ব্যবহার হচ্ছে না। এমন অর্থ পরিমান ২১ হাজার টাকা মতো আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। সেই অর্থ বা লভ্যাংশ সঠিক ব্যবহারের জন্য আমরা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করি। এরপর দেখি, তারা অটোভাবেই বিনিয়োগকারীদের খুজে পাচ্ছে। তাদের পাওনা আমানত ফেরতও দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এরপরও এই পযর্ন্ত ১ হাজার কোটি টাকার মতো লভ্যাংশ আদায় হয়েছে। আরো লভ্যাংশ আসার পথে রয়েছে।

তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, বিনিয়োগকারীদের না দেওয়া লভ্যাংশ আদায়ে কোম্পানিগুলোতে দফায় দফায় তাগিদ দিচ্ছি। অপরদিকে তারাও দফায় দফায় সময় নিচ্ছে। কিন্তু লভ্যাংশ দেবার নাম নেয় না। এরপর আমরা অনেক ভাল ব্যবহার করছি। ধৈর্য ধরে আছি। সময়ও দিচ্ছি। প্রতিষ্ঠানের নাম খারাপ হবে ভেবেই সময় পাচ্ছে। এরপর আপনারা লভ্যাংশের অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না। কিন্তু এখন আমাদের কঠোর হবার সময় হয়েছে। আপনারা সতর্ক হোন। সামনে দিনে এই সুযোগ আর পাবেন না। আমাদের বিএসইসির বোর্ড সভায় সামনে এবিযয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিবো। বিনিয়োগকারীদের পাওনা লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ড) এক টাকাও ছাড় দেওয়া হবে না। সুদে আসলে সব আদায় করা হবে। কোন অজুহাত শোনা হবে না। লভ্যাংশ ফেরত না দিলে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, লভ্যাংশ বাবদ বীমায় ৭০ কোটি টাকা রয়েছে, শুনা যাচ্ছে। কিন্তু কোথায়, কিভাবে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি, অবন্টিত লভ্যাংশ যথা স্থানে ফিরিয়ে দিতে। এই ব্যাপারে আমি সিএমএসএফকে সব ধরনের সহায়তা করবো। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের অনেক বীমা কোম্পানি দেউলিয়া হবার পথে। সেইসব কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর রাস্তা বের করার আহবান রাখেন।

শেয়ারবাজারকে জোর করে উঠানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই শেয়ারবাজারকে টেনে টুনে উঠানো চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটাতো টেনে তোলার জিনিস না। এটাতে স্বাভাবিক নিয়মে চলতে দিন।

সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান শেয়ারবাজার ভাইব্রেন্ট। সামনে আরো ভাইব্রেন্ট হবে। সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের দাবি আদায়ে কাজ করছি। বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পতি হচ্ছে। এটা চলমান থাকবে। অবন্টিত লভ্যাংশ আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেষ্টা করছি অলস পড়ে থাকা লভ্যাংশ খুজে বের করতে। এই ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছি। এরই লক্ষে ব্যাংক-বীমার বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে, সিএমএসএফ ইতোমধ্যে ৫৩৭ বিনিয়োগকারীর নগদ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮২ টাকা এবং ২০৩ জন বিনিয়োগকারীর ২ লাখ ৪ হাজার ২০৪টি শেয়ারের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ৬৪ জন বিনিয়োগকারী ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৩২ টাকা এবং ৪৮ জন বিনিয়োগকারীর ৬২ হাজার ৫৫৬টি শেয়ারের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/১৭ এপ্রিল, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: