বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গেল জুলাই মাসে ৮ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। যা ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে ২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই মাসে ৬ হাজার ৯১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট ৮ হাজার ৭০৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। বিপরীতে একই সময়ে পরিশোধ হয়েছে ৫ হাজার কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ফলে মূল অর্থ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ নিট বিক্রি হিসেবে গণ্য হয়। ফলে আলোচিত সময়ে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার এ খাতের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। আগে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য কোনো ক্রেতাকে কর শনাক্ত নম্বর বা ই-টিআইএন জমা দিতে হতো না। বর্তমানে ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। ফলে এখন কেউ চাইলেই ভবিষ্যৎ তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম পুরোপুরি অনলাইনের মাধ্যমে মনিটর করায় কেউ ইচ্ছে করলে, সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র বা একই নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে কিনতে পারছেন না।
সরকারে এসব শর্তের কারণে গত অর্থবছর উল্লেখযোগ্য হারে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যায়। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায় মন্দা ও ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদহার কমে যাওয়ায় বেশি মুনাফার আশায় নানা শর্ত পূরণ করেও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছে সাধারণ মানুষ। ফলে নতুন অর্থবছরের জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
বিজনেস আওয়ার/০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ