ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাধ্যতামূলক অবসরে কর কর্মকর্তা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • 40

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য পরিবর্তন, মূল রেকর্ড নষ্ট ও ভুয়া নথি তৈরি করে করদাতাকে হয়রানি করার অভিযোগে কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক মো. আবদুল বারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদের সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আদেশ সূত্র জানা যায়, মো. আবদুল বারী কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে শামীম রেজা ও মিজ ইনা রেজার আয়কর নথির আদেশ, পরিসম্পদ ও দায় বিবরণীর তথ্য পরিবর্তন, মূল রেকর্ড বিনষ্টকরণ, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রেকর্ড নথিতে স্থাপন করার অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩ (ই) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। বিভাগীয় মামলার ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৯ জুন বারীর শুনানি ও লিখিত জবাব দেন। তবে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন তিনি। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে কর পরিদর্শক আবদুল বারীকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪(৩) (১) (খ) অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি ১৫ দিনের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে দুই বছরেও দেশে না আসা এবং সরকারি দায়িত্ব অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগে কর অঞ্চল-৬ এর কর পরিদর্শক মোহাম্মদ এহছানুল হককে অপসারণ করে এনবিআর।

বিজনেস আওয়ার/১৯ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাধ্যতামূলক অবসরে কর কর্মকর্তা

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য পরিবর্তন, মূল রেকর্ড নষ্ট ও ভুয়া নথি তৈরি করে করদাতাকে হয়রানি করার অভিযোগে কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক মো. আবদুল বারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদের সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আদেশ সূত্র জানা যায়, মো. আবদুল বারী কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে শামীম রেজা ও মিজ ইনা রেজার আয়কর নথির আদেশ, পরিসম্পদ ও দায় বিবরণীর তথ্য পরিবর্তন, মূল রেকর্ড বিনষ্টকরণ, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রেকর্ড নথিতে স্থাপন করার অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩ (ই) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। বিভাগীয় মামলার ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৯ জুন বারীর শুনানি ও লিখিত জবাব দেন। তবে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন তিনি। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে কর পরিদর্শক আবদুল বারীকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪(৩) (১) (খ) অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি ১৫ দিনের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে দুই বছরেও দেশে না আসা এবং সরকারি দায়িত্ব অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগে কর অঞ্চল-৬ এর কর পরিদর্শক মোহাম্মদ এহছানুল হককে অপসারণ করে এনবিআর।

বিজনেস আওয়ার/১৯ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: