বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাগেরহাটের রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লা সংকটে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বন্ধ রয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মূলত ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আনার জন্য নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ৩ মের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে, মূলত ডলার সংকটের কারণে দীর্ঘদিন অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ব্যাপারে কড়া অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় কয়লাও পড়ে যায়। এমন অবস্থায় কবে নাগাদ কয়লা আমদানি স্বাভাবিক হবে এবং এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ১৭ জানুয়ারি কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার নির্দেশনা দেয়।
এর আগে কয়লা সংকটের কারণে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফেরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয় এ মেগা প্রকল্পের উৎপাদন। টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পরে ১৮ এপ্রিল সচল হয় কেন্দ্র।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২৯ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ