বিনোদন ডেস্ক: নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগের পর এবার ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার প্রথম যগ্ম জেলা জজ আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন এই প্রযোজক।
মামলা নং ৪৫।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ ও তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা।
আইনজীবী বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার সিএমএম কোর্টে মো. রশিদুল আলমের আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় আরও একটি মানহানি মামলা করেন এই প্রযোজক। মামলা নং- সিআর-২৪৯/২৩ (রমনা)।
এই মামলাটির তদন্ত করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রহমত উল্লাহর পক্ষে শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা।
এদিকে প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে গত ১৮ মার্চ রাতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং পরবর্তীতে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন শাকিব খান। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৬ এপ্রিল আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেয়েছেন রহমত উল্লাহ। পরবর্তীতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান।
মামলার শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়েত শাকিব খানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন, অভিযোগ আমলে নেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর গত ১৫ মার্চ বিকালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি এই প্রযোজক সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন রহমত উল্লাহ।
এদিকে নিজের নিরাপত্তার জন্য (২৫ এপ্রিল) আদাবর থানায় শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন রহমত উল্লাহ।
বিজনেস আওয়ার/৩০ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ