বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয় না এমারেল্ড অয়েল। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শেয়ারের এমন দাম বাড়ার বিষয়টি তদন্ত করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-কে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির সহকারি পরিচালক লামিয়া আক্তার সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইর এমডি বরাবর পাঠানো হয়েছে।
তথ্য পর্যালোচায় দেখা যায়, গত ২ এপ্রিল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩০.৮০ টাকা। যা ২ মে লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৪.৯০ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে।
কোম্পানিটির শেয়ারের এই দর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে করছে বিএসইসি। যে কারনে ডিএসইকে আগামি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দর বৃদ্ধির বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও ২০১৬ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে। লোকসানে নিমজ্জিত থাকায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ তিনটি বছরেই কোনো ধনের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমনকি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের পর কোম্পানিটি আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এই কোম্পানির শেয়ারের এমন দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে ইতোমধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
বিজনেস আওয়ার/০২ এপ্রিল, ২০২৩/আরএ