ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার): আবদুল আমিন ও মফিদ আলমকে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলা দুটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্ত মামলার নথিপত্র আগামী ৯ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপনের জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ। মামলা দুটিতে ৪৬ জন পুলিশ সদস্য এবং ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে আসামি করা হয়েছে।

আবদুল আমিন নিহতের ঘটনায় তার ভাই নুরুল আমিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আমার ভাই আবদুল আমিনকে আটক করে পুলিশ। এরপর পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়ার পরও ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে আবদুল আমিনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে পুলিশ। এ মামলায় ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জন পুলিশ।

আর মফিদ আলম নিহতের ঘটনায় তার ভাই মোহাম্মদ সেলিম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই আমার ভাইকে আটক করা হয়। এরপর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেয়ার পরও ১৪ জুলাই মফিদ আলমকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেয় পুলিশ। এ মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনই পুলিশ।

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে হত্যার অভিযোগ ও সাংবাদিক নির্যাতনের দায়ে ইতোমধ্যে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার): আবদুল আমিন ও মফিদ আলমকে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলা দুটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্ত মামলার নথিপত্র আগামী ৯ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপনের জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ। মামলা দুটিতে ৪৬ জন পুলিশ সদস্য এবং ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে আসামি করা হয়েছে।

আবদুল আমিন নিহতের ঘটনায় তার ভাই নুরুল আমিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আমার ভাই আবদুল আমিনকে আটক করে পুলিশ। এরপর পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়ার পরও ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে আবদুল আমিনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে পুলিশ। এ মামলায় ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জন পুলিশ।

আর মফিদ আলম নিহতের ঘটনায় তার ভাই মোহাম্মদ সেলিম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই আমার ভাইকে আটক করা হয়। এরপর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেয়ার পরও ১৪ জুলাই মফিদ আলমকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেয় পুলিশ। এ মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনই পুলিশ।

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে হত্যার অভিযোগ ও সাংবাদিক নির্যাতনের দায়ে ইতোমধ্যে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: