বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বানোয়াট নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে শিক্ষাবৃত্তির নামে বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অপরদিকে মৃত্যুবরণ করায় এক জনকে চার্জশিট হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় কমিশন থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুপুরে দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিগগিরই দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করবেন। ওই চার্জশিটের আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত এ্যাসিটেন্ট অফিসার কামরুজ্জামান ও বরখাস্তকৃত সহকারী অফিসার সৈয়দ হাসান। অপরদিকে তাজুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করায় অনুমোদিত চার্জশিট হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় ওই মামলায় হতে পাঁচজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ হওয়া ওই চারজনই বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তা ছিলেন।
জানা যায়, এ্যাসিটেন্ট অফিসার কামরুজ্জামান মো. রফিকুল ইসলাম বানোয়াট নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। পরবর্তীতে তিনি তার নাম ব্যবহার করে প্রতিবছর সরকারী বিভিন্ন অফিসের নাম ও পদবী ব্যবহারপূর্বক বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে কল্পিত অধ্যয়নত সন্তানের নাম দিয়ে শিক্ষাবৃত্তির জন্য অনেকগুলো আবেদন করেন। তার সকল আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে বাংলাদেশ ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ২৫০ টাকার চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। একইভাবে সৈয়দ হাসান ইমাম নিজেকে মো. আব্দুল মালেক পরিচয়ে বানোয়াট নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে সন্তানের নামে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কল্যান তহবিলের ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে। তাজুল ইসলাম অনুরূপভাবে ১৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাত করে। মৃত্যুবরণ করায় তাকে অনুমোদিত চার্জশিট হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/৮ মে, ২০২৩/এমএজেড