ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলার

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • 68

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০৭ মিলিয়ন পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়ে বেড়ে এখন ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলার; একদিন আগেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯.৭৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিশ্বের যে সংস্থাগুলো থেকে ঋণ সহায়তা চেয়েছি- ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা পেয়েছি। এখনো যে সমস্ত সংস্থাগুলো থেকে আমরা ঋণ সহায়তা পাইনি, আশাবাদী খুব শীঘ্রই তাদের থেকেও ঋণ সহায়তা পাব।”

“বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদী সংস্থাগুলো থেকে ঋণ সহায়তা পেলে জুন শেষে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ থাকবে ৩২ বিলিয়ন ডলার। দাতা সংস্থা আইএমএফের শর্তের আলোকে জুন ভিত্তিক দেশের নীট রিজার্ভ পরিপূর্ণ থাকবে।”

আইএমএফ গত মার্চে ২২.৯৪৭ বিলিয়ন ডলার নীট রিজার্ভ রাখার ফ্লোর নির্ধারণ করেছিল, যা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগামী জুনে এই ফ্লোর বাড়িয়ে ২৪.৪৬২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত রয়েছে সংস্থাটির। আগামী সেপ্টেম্বরে নীট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫.৩১৬ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬.৪১১ বিলিয়ন ডলারের ফ্লোর করে দিয়েছে আইএমএফ।

তবে জুনের মধ্যে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী নীট রিজার্ভ বাড়াতে বিদেশি উৎসকেই ভরসা হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গত ৭ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিভিন্ন দেশের সাথে একাধিক চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, বিদেশি ঋণ পেলে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জুন শেষে নীট রিজার্ভ রাখা যাবে।”

জানা যায়, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের কাছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার, জাইকার কাছে ৩২০ কোটি ডলার এবং কোরিয়ার কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছে সরকার, যা আগামী জুনের মধ্যেই পাওয়ার চেষ্টা করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এসব ঋণ পাওয়া গেলে জুনের মধ্যে রিজার্ভে বাড়তি ১ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।

বিজনেস আওয়ার/১০ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলার

পোস্ট হয়েছে : ০২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০৭ মিলিয়ন পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়ে বেড়ে এখন ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলার; একদিন আগেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯.৭৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিশ্বের যে সংস্থাগুলো থেকে ঋণ সহায়তা চেয়েছি- ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা পেয়েছি। এখনো যে সমস্ত সংস্থাগুলো থেকে আমরা ঋণ সহায়তা পাইনি, আশাবাদী খুব শীঘ্রই তাদের থেকেও ঋণ সহায়তা পাব।”

“বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদী সংস্থাগুলো থেকে ঋণ সহায়তা পেলে জুন শেষে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ থাকবে ৩২ বিলিয়ন ডলার। দাতা সংস্থা আইএমএফের শর্তের আলোকে জুন ভিত্তিক দেশের নীট রিজার্ভ পরিপূর্ণ থাকবে।”

আইএমএফ গত মার্চে ২২.৯৪৭ বিলিয়ন ডলার নীট রিজার্ভ রাখার ফ্লোর নির্ধারণ করেছিল, যা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগামী জুনে এই ফ্লোর বাড়িয়ে ২৪.৪৬২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত রয়েছে সংস্থাটির। আগামী সেপ্টেম্বরে নীট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫.৩১৬ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬.৪১১ বিলিয়ন ডলারের ফ্লোর করে দিয়েছে আইএমএফ।

তবে জুনের মধ্যে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী নীট রিজার্ভ বাড়াতে বিদেশি উৎসকেই ভরসা হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গত ৭ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিভিন্ন দেশের সাথে একাধিক চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, বিদেশি ঋণ পেলে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জুন শেষে নীট রিজার্ভ রাখা যাবে।”

জানা যায়, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের কাছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার, জাইকার কাছে ৩২০ কোটি ডলার এবং কোরিয়ার কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছে সরকার, যা আগামী জুনের মধ্যেই পাওয়ার চেষ্টা করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এসব ঋণ পাওয়া গেলে জুনের মধ্যে রিজার্ভে বাড়তি ১ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।

বিজনেস আওয়ার/১০ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: