স্পোর্টস ডেস্ক: আয়ারল্যান্ডকে ২৮৬ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম ভালোই সামলাচ্ছেন আইরিশ বোলারদের। খেলেছেন পুরোপুরি ওয়ানডে মেজাজে। দুজনে মিলে পার করেছেন ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এখন পর্যন্ত দুই ব্যাটারের ব্যাট থেকে ৪ এসেছে ৭টি ও ছক্কা ২টি। সাদমান চার মেরেছেন ৩টি আর জয় ৪টি চার মেরেছেন। দুজনই ছক্কা হাঁকিয়েছেন একটি করে।এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৫ রান। জয় ২৮ ও সাদমান ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে, বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আইরিশদের বাকি দুই উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
৬০ বলে ৩০ রান করে উইকেটে থিতু হওয়া জর্ডান নেইল তাইজুলের বলে পড়েন লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে। দ্বিতীয় দিন দলের বোর্ডে ৮ রান যোগ হতেই নবম উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। নেইলের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়া ব্যারি ম্যাকার্থি ৩১ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হলে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
প্রথম দিন ছোট ছোট জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকে সফরকারীদের ব্যাটাররা। দলের বোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে ফেরান হাসান মাহমুদ। ৯৬ রানের জুটিতে হাল ধরেন পল স্টার্লিং ও চাদ কারমাইকেল। সেই জুটি অতিমাত্রায় চেপে বসার আগেই ৬০ রান করা স্টার্লিংকে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাহিদ রানা। নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টর ১ রান করেই এলবিডব্লিউ হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। ৯৬ ও ৯৭ রান পরবর্তী দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
স্টার্লিং ফিরলেও বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ানোর শঙ্কা তৈরি করেন চাদ কারমাইকেল। ৫৯ রানে থাকা অবস্থায় তাকেও ফেরান মিরাজ। ফলে ১৫০ রানে পতন হয় চতুর্থ উইকেটের।
চা-বিরতির পর দুইশো রান স্পর্শ করে বালবার্নির দল। তবে পরবর্তী ২২ রানে ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত হাসান মুরাদ কার্টিস ক্যাম্ফারকে (৪৪) ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম উইকেট লাভ করেন। ২০৩ রানে ক্যাম্ফারকে ফেরানোর পর ২১৮ রানে লোরকান টাকার ৪১ রানে স্টাম্পিং হন তারই বলে ২২২ রানে।
ষষ্ঠ উইকেট হারানো সফরকারীরা ২২২ রানে হারায় মিরাজের বলে ম্যাকব্রাইনের উইকেট। সেটি ছিল প্রথম দিনের শেষ উইকেট। ২৭০ রানে দিন শেষ করার পর ২৮৬ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় দিন মাত্র ১৪ বল খেলেই।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। জোড়া উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মুরাদ। একটি উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা।
বিজনেস আওয়ার/ ১২ নভেম্বর / রানা

























