বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের (২০০২-২০২৩) শেষ তিন কর্মদিবস (২৮ থেকে ৩০ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ের কাছাকাছি হওয়ায় সরকারি অফিস বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তির সময়সীমা, জুন মাসের ব্যয় বিল দাখিলের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার স্বাক্ষরিত অর্থ বিভাগের যুগ্ম-সচিব আবু দাইয়ান মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় স্বাক্ষরিত মঙ্গলবার নির্দশনাটি প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১২ জুনের মধ্যে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তির (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) করতে হবে।
এতে বলা হয়, অর্থবছরের শেষদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতর/সংস্থা কর্তৃক দাখিল করা নিয়মিত বিল ও ফেরত বিলগুলোর ওপর সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক পূর্ব-নিরীক্ষার কাজ সুষ্ঠু ও যথাযথাভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষে ব্যয় বিল দাখিল, বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রয়োজন। চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ তিন কর্মদিবস ২৮ থেকে ৩০ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ের কাছাকাছি হওয়ায় সরকারি অফিস বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যয় বিল দাখিল, বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তির (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সময়সীমা ১২ জুন। পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় খাতে নতুন ব্যয় বিল দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ১৪ জুন। পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় খাতে ফেরত বিল দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ২০ জুন। পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় বাজেটের আওতায় বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর সর্বশেষ তারিখ ২৫ জুন। বাজেট বরাদ্দের আওতায় বিদেশ হতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমদানি ও মূল্য পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২৫ জুন। যেসব ক্ষেত্রে চলতি বছরের ২৭ জুন তারিখের মধ্যে আমদানি ও মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না সেক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ, চলতি অর্থবছরে স্থাপিত এলসির বিপরীতে আগামী অর্থবছরে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রভৃতি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে ২০ জুনের মধ্যে। বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কোনো আমদানি এলসি স্থাপন কিংবা নিষ্পত্তির সর্বশেষ তারিখ ২৫ জুন।
বিজনেস আওয়ার/১৬ মে, ২০২৩/এমএজেড