আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ে! তাও আবার এক ছাদনাতলাতেই! আর পাত্রকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন দুই বোনের মধ্যে একজন। অবাক করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের টনক জেলায়। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্নাতক পাশ করেছেন পাত্র হরি ওম মিনা।
অন্যদিকে, তার দুই পাত্রীর মধ্যে উর্দুতে ‘এমএ’ পাশ করেছেন কান্তা। আর তাকে দেখেই প্রেমে পড়ে যান হরি। এদিকে সেই প্রস্তাব ফেরাননি কান্তাও। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয় ছোট বোন সুমনকে নিয়ে।
সুমন মানসিক ভারসাম্যহীন। তার দেখাশোনা করতেন কান্তাই। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। বোনের উপর অলম্বন করেই তার জীবন। এরপরেই হরিতে একটি প্রস্তাব দেন কান্তা।
তিনি হরিকে বলেন, যদি তাকে বিয়ে করতে হয় সেক্ষেত্রে তার ছোট বোনকেও বিয়ে করতে হবে। প্রথমে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন হরি। এরপর অবশ্য তিনি রাজি হয়ে যান।
জানা গিয়েছে, হরি গত ৫ মে দুই বোনকেই বিয়ে করেছে। কান্তা এবং হরি দুই জনেই উর্দু নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আপাতত তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হরি জানিয়েছেন, “আমি এই বিয়েতে অত্যন্ত খুশি। আমি যদি ওকে বিয়ে না করতাম সেক্ষেত্রে হয়তো সুমন কোনওদিন নিজের জীবনসঙ্গী খুঁজে পেত না। আমি এবং আমার পরিবার কান্তার দায়িত্ববোধে মুগ্ধ হয়েছি। এরপরেই ওদের দুই বোনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই।”
হরি আরও জানান, প্রথমে তিনি সুমনকে বিয়ে করতে চাননি। পরে পাত্রীপক্ষ তাকে বিভিন্নভাবে বোঝান এবং মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি সামনে রাখেন। কান্তাকে ছাড়া সুমনের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। এরপরেই পরিস্থিতি বুঝে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কান্তা জানিয়েছেন, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য সুমনের পাশে থাকার। তার বোন যদি শ্বশুরবাড়িতে সঙ্গে থাকে সেক্ষেত্রে ভালো করে তার যত্ন নেওয়া সম্ভব হবে। এই বিয়েতে কার্যত খুশি পরিবারের সদস্যরা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হয়েছে। আর এতেই কার্যত ফুঁসে ওঠেছেন নেটপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ।
এক নেটিজেন বলেন, “বিয়ে করার কী প্রয়োজনীয়তা ছিল। স্ত্রীর বোনকে নিজেও একই সম্বন্ধে দেখভাল করা যেত। এভাবে একজন মহিলার জীবন তছনছ করে দেওয়া হল। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় হয়তো অনেক কথাই তিনি বলতে পারবেন না।
গত ৫ মে কান্তা ও সুমনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন যুবক। একসঙ্গে তিনজনের সাত পাকে বাঁধা পড়া।
বিজনেস আওয়ার/২১ মে, ২০২৩/এএইচএ