বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অস্ত্রভাণ্ডারে এবার যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী দুটি অত্যাধুনিক রোবট। এর ফলে এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে হবে না। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজটি করবে রোবট। ইতোমধ্যে রোবট পরিচালনার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
রোববার (২১ মে) চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনসে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সপ্তাহখানেক আগে দুটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোসাল (ইওডি) রোবট আনা হয়। এগুলো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের ৯ জন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাঁচজন সদস্য।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপকমিশনার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান বলেন, আগে ঝুঁকি নিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে হতো। এখন সেই কাজটি রোবট করবে। সন্দেহজনক স্থানে রোবট পাঠিয়ে প্রথমে সবকিছু স্ক্যান করা হবে। এতে বোঝা যাবে, বোমার ভেতর কী রয়েছে বা বোমা কতটা শক্তিশালী। স্ক্যান করার পর রিমোটের সাহায্যে রোবট দিয়েই বোমা নিষ্ক্রিয় করা যাবে।
তিনি বলেন, শুধু বোমা নয়, ল্যান্ডমাইন থেকে শুরু করে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের বিস্ফোরণ পর্যন্ত ঘটাতে পারবে এসব রোবট। আর রোবট পরিচালনা শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসেছে। দুই সপ্তাহ ধরে এই প্রশিক্ষণ চলবে।
বিজনেস আওয়ার/২২ মে, ২০২৩/এএইচএ