ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট ক্যাটাগরিতে পাচ্ছে জাতীয় চা পুরস্কার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • 44

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হবে। আট ক্যাটাগরিতে সাতটি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একটি পুরস্কার দেওয়া হবে। চা শিল্পের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রথম জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের লক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।

এইগুলো হলো- একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রফতানিকারক, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, মশ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।

আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। গুণগতমানের চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/২২ মে, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আট ক্যাটাগরিতে পাচ্ছে জাতীয় চা পুরস্কার

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হবে। আট ক্যাটাগরিতে সাতটি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একটি পুরস্কার দেওয়া হবে। চা শিল্পের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রথম জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের লক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।

এইগুলো হলো- একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রফতানিকারক, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, মশ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।

আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। গুণগতমানের চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/২২ মে, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: