ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি তেলে ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জ্বালানি আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করবে সরকার। আসছে বাজেটে জ্বালানি তেলের মূল্য কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ৩৪ শতাংশ শুল্ককর থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ২৯ শতাংশ নির্ধারণ করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী বাজেটে ১৩ ধরনের তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে সরকার।

জ্বালানি তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভ্যাট, ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।

বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যের মধ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশসহ মোট শতকরা ৩৪ শতাংশ সরকারি শুল্ক ও কর বিদ্যমান। অগ্রিম ৫ শতাংশ কর উঠে গেলে এ হার ২৯ শতাংশে নেমে আসবে।

যে ১৩টি জ্বালানি পণ্য আগাম কর অব্যাহতি পেতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, পেট্রোলিয়াম তেল, অপরিশোধিত তেল, এইচবিওসি (হাই অকটেন ব্লেন্ডিং কম্পোনেন্ট) ধরনের মোটর গ্যাসোলিন, এভিয়েশন গ্যাসোলিনসহ অন্যান্য গ্যাসোলিন; জেট ফুয়েল, সাদা স্পিরিট, ন্যাপথা, জেট ফুয়েলের কেরোসিন টাইপের জেপি-১, জেপি-৪ ও অন্যান্য কেরোসিন; হালকা ডিজেল তেল, হাই স্পিড ডিজেল তেল এবং ফার্নেস তেল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা এবং পেট্রোল ১২৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। অগ্রিম কর কমে গেলে এর প্রভাবে পুরো অর্থনীতিতে পড়বে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা এম শামসুল আলম জানান, জ্বালানির দাম যতটুকু দাম কমে সেটা দিয়ে স্থিতিশীল তহবিল করার কথা আমরা বার বার বলেছি। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়লে দেশীয় বাজারে না বাড়িয়ে তহবিল থেকে সমন্বয় করা যায়। আর কমলে ফের তহবিলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। কিন্তু এই কাজ করা হয়নি। সরকার মানুষের সুরক্ষার কথা ভাবে না। সব জায়গায় অনিয়ম, দুর্নীতি ভর করায় যে কোনো উদ্যোগে মানুষ সুরক্ষা পাবে এমন প্রত্যাশা করার সুযোগ কম।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা আগেই তুলে নেওয়া দরকার ছিল। জ্বালানিতে ভ্যাট ছাড়া অন্য কিছুই থাকা উচিত না। কারণ আমরা জ্বালানি আমদানি করি।

আমরা জ্বালানিতে ভর্তুকিও চাই না, ট্যাক্সও চাই না। এটা বহুল ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এর ওপর কর বসানো ঠিক নয়। সব ট্যাক্স উঠিয়ে দিয়ে জ্বালানি তেলকে বাজারভিত্তিক করে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জ্বালানি তেলে ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জ্বালানি আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করবে সরকার। আসছে বাজেটে জ্বালানি তেলের মূল্য কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ৩৪ শতাংশ শুল্ককর থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ২৯ শতাংশ নির্ধারণ করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী বাজেটে ১৩ ধরনের তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে সরকার।

জ্বালানি তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভ্যাট, ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।

বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যের মধ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশসহ মোট শতকরা ৩৪ শতাংশ সরকারি শুল্ক ও কর বিদ্যমান। অগ্রিম ৫ শতাংশ কর উঠে গেলে এ হার ২৯ শতাংশে নেমে আসবে।

যে ১৩টি জ্বালানি পণ্য আগাম কর অব্যাহতি পেতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, পেট্রোলিয়াম তেল, অপরিশোধিত তেল, এইচবিওসি (হাই অকটেন ব্লেন্ডিং কম্পোনেন্ট) ধরনের মোটর গ্যাসোলিন, এভিয়েশন গ্যাসোলিনসহ অন্যান্য গ্যাসোলিন; জেট ফুয়েল, সাদা স্পিরিট, ন্যাপথা, জেট ফুয়েলের কেরোসিন টাইপের জেপি-১, জেপি-৪ ও অন্যান্য কেরোসিন; হালকা ডিজেল তেল, হাই স্পিড ডিজেল তেল এবং ফার্নেস তেল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা এবং পেট্রোল ১২৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। অগ্রিম কর কমে গেলে এর প্রভাবে পুরো অর্থনীতিতে পড়বে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা এম শামসুল আলম জানান, জ্বালানির দাম যতটুকু দাম কমে সেটা দিয়ে স্থিতিশীল তহবিল করার কথা আমরা বার বার বলেছি। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়লে দেশীয় বাজারে না বাড়িয়ে তহবিল থেকে সমন্বয় করা যায়। আর কমলে ফের তহবিলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। কিন্তু এই কাজ করা হয়নি। সরকার মানুষের সুরক্ষার কথা ভাবে না। সব জায়গায় অনিয়ম, দুর্নীতি ভর করায় যে কোনো উদ্যোগে মানুষ সুরক্ষা পাবে এমন প্রত্যাশা করার সুযোগ কম।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা আগেই তুলে নেওয়া দরকার ছিল। জ্বালানিতে ভ্যাট ছাড়া অন্য কিছুই থাকা উচিত না। কারণ আমরা জ্বালানি আমদানি করি।

আমরা জ্বালানিতে ভর্তুকিও চাই না, ট্যাক্সও চাই না। এটা বহুল ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এর ওপর কর বসানো ঠিক নয়। সব ট্যাক্স উঠিয়ে দিয়ে জ্বালানি তেলকে বাজারভিত্তিক করে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: