বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালি ইন্স্যুরেন্সে প্রায় ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির এ সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবে আছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। বাকি টাকার হদিস নেই। যে কোম্পানিটিতে গ্রাচ্যুইটি স্কীম না থাকা সত্ত্বেও প্রদান দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে।
কোম্পানিটির ২০২২ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের অবন্টিত লভ্যাংশ হিসাবে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবে আছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবে অবন্টিত লভ্যাংশের ঘাটতি ২ কোটি ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
এদিকে কোম্পানির আর্থিক হিসাবে মধুমতি ব্যাংকে স্বল্প-মেয়াদি ঋণ হিসাবে ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ঋণ দেখানো হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক স্টেটমেন্টে এই ঋণের পরিমাণ ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য প্রিমিয়াম, ইস্যু অব পে অর্ডার, ব্যাংক ইন্টারেস্ট ও ব্যাংক চার্জ অমিমাংসিত রয়েছে।
এই বীমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আয়কর কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করেছে। কিন্তু শর্ত অনুযায়ি এই ফান্ডের জন্য পৃথক ব্যাংক হিসাব খোলা ও নিরীক্ষা করা দরকার হলেও রূপালি ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ তা করে না।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, রূপালি ইন্স্যুরেন্সে গ্রাচ্যুইটি স্কীম নেই। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চলে যাওয়া কর্মীদের গ্রাচ্যুইটি প্রদান ও আয় হিসাবে তা দেখায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রূপালি ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৫৩.৫৩ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। বুধবার (২৪ মে) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৯.৯০ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/২৫ মে, ২০২৩/আরএ