ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর সময় হয়েছে- পপি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 38

বিনোদন ডেস্ক: শিল্পীদের দুস্থ বলার অধিকার দেয়া হয়নি কাউকে। যারা শিল্পীদের খাদ্য কিংবা অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করে সেলফি তুলছেন এবং সেটা ফেসবুকে প্রকাশ করছেন তার মাধ্যমে শিল্পীদের অপমান করা হচ্ছে। অনেক সিনিয়র ও সমসাময়িক শিল্পীরাও মানুষকে সহযোগীতা করেন। কিন্তু সেটার জন্য প্রচারণা করেন না।

তাছাড়া এফডিসিতে শিল্পীদের বার বার অপমান করা হচ্ছে। সিনিয়র অনেক শিল্পীর সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন সময় হয়েছে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর। কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ তারকা বলেন, শিল্পীরা শুধু সন্মান চাই। কিন্তু শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে তাদেরকে হয়রানি, অপমান করা হচ্ছে। অনেক সিনিয়র শিল্পীর সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। শিল্পীর কাছ থেকে যদি তার পরিচয় কেড়ে নেয়া হয় তার আর কি থাকে!

শিল্পীরাই তাকে সাধারন সম্পাদক বানিয়েছে, আর তিনি শিল্পীদেরকে অপমান করেই যাচ্ছেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন, একজন মানুষের বিপক্ষে এতগুলো মানুষের অবস্থান চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিরল। এরকম আমাদের ফিল্মে কখনও ঘটেনি।

মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে। ১৮ টি সংগঠন তাকে বয়কট করেছে। মানুষ এতদিন আত্মসম্মানের ভয়ে চুপ ছিলো। আমি দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্রে অতিবাহিত করেছি। সব সময় চলচ্চিত্রে সবার সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো। শিল্পীদের মধ্যে এই দ্বন্দ আগে কখনও দেখিনি।

পপি বলেন, চলচ্চিত্রের শিল্পীরা কাজ চায়, ত্রাণ নয়। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কোনো কাজ করা হচ্ছে না। বরংচ যারা তাকে ভোট দিয়ে সাধারন সম্পাদক বানিয়েছেন, তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে দিনের পর দিন। সব মিলিয়েচলচ্চিত্রের অবস্থা এমনিতেই সুখকর না এখন। আমাদের সবার কাজে মনোযোগী হতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর সময় হয়েছে- পপি

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিনোদন ডেস্ক: শিল্পীদের দুস্থ বলার অধিকার দেয়া হয়নি কাউকে। যারা শিল্পীদের খাদ্য কিংবা অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করে সেলফি তুলছেন এবং সেটা ফেসবুকে প্রকাশ করছেন তার মাধ্যমে শিল্পীদের অপমান করা হচ্ছে। অনেক সিনিয়র ও সমসাময়িক শিল্পীরাও মানুষকে সহযোগীতা করেন। কিন্তু সেটার জন্য প্রচারণা করেন না।

তাছাড়া এফডিসিতে শিল্পীদের বার বার অপমান করা হচ্ছে। সিনিয়র অনেক শিল্পীর সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন সময় হয়েছে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর। কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ তারকা বলেন, শিল্পীরা শুধু সন্মান চাই। কিন্তু শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে তাদেরকে হয়রানি, অপমান করা হচ্ছে। অনেক সিনিয়র শিল্পীর সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। শিল্পীর কাছ থেকে যদি তার পরিচয় কেড়ে নেয়া হয় তার আর কি থাকে!

শিল্পীরাই তাকে সাধারন সম্পাদক বানিয়েছে, আর তিনি শিল্পীদেরকে অপমান করেই যাচ্ছেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন, একজন মানুষের বিপক্ষে এতগুলো মানুষের অবস্থান চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিরল। এরকম আমাদের ফিল্মে কখনও ঘটেনি।

মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে। ১৮ টি সংগঠন তাকে বয়কট করেছে। মানুষ এতদিন আত্মসম্মানের ভয়ে চুপ ছিলো। আমি দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্রে অতিবাহিত করেছি। সব সময় চলচ্চিত্রে সবার সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো। শিল্পীদের মধ্যে এই দ্বন্দ আগে কখনও দেখিনি।

পপি বলেন, চলচ্চিত্রের শিল্পীরা কাজ চায়, ত্রাণ নয়। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কোনো কাজ করা হচ্ছে না। বরংচ যারা তাকে ভোট দিয়ে সাধারন সম্পাদক বানিয়েছেন, তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে দিনের পর দিন। সব মিলিয়েচলচ্চিত্রের অবস্থা এমনিতেই সুখকর না এখন। আমাদের সবার কাজে মনোযোগী হতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: