বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করযোগ্য আয় নেই, কিন্তু কর রিটার্ন দাখিল করেন এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা। অন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতাদের জন্য ন্যূনতম কর হার প্রস্তাব করা হয়েছে চার হাজার টাকা। আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরের করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ তিন হাজার টাকা।
বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণিতে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৮৬ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন।
যে ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখের করযোগ্য আয় নেই। এই ৮ লাখ ব্যক্তির ওপর ন্যূনতম কর ধার্য করা হলে সরকারের বাড়তি ১৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
ন্যূনতম করের নিয়মটি যদি সব টিআইএনধারীর ওপর প্রয়োগ করা হয়, তবে এক হাজার ২৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে সরকারকে ন্যূনতম কর প্রদান করে সরকারের জনসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের অংশীদারত্বমূলক অংশগ্রহণ দেশের সক্ষম জনসাধারণের মাঝে সঞ্চারণের লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে আয় রয়েছে অথচ সরকার হতে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এমন সকল করদাতার ন্যূনতম কর ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।’
বিজনেস আওয়ার/২জুন, ২০২৩/এএইচএ