স্পোর্টস ডেস্ক: ডার্বিতে মার্শেই বনাম পিএসজির ম্যাচটিতে ৮ জনের দলে পরিণত হওয়া পিএসজি ১-০ গোলে হারে ৯ জনের মার্শেইরে বিপক্ষে। দু’দলের ৫ খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানোর পাশাপাশি ১৭বার হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারিকে। ম্যাচটিতে পিএসজির হয়ে শেষ খেলোয়াড় হিসেবে লাল কার্ড দেখেন নেইমার।
ম্যাচ চলাকালীন তিনি প্রতিপক্ষের গনসালেসের মাথার পেছনে হাত দিয়ে আঘাত করেন। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। যদিও দু’জনকে এর আগে বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়। পরে অবশ্য নেইমার এক টুইটে জানিয়েছেন, সে (গনসালেস) বর্ণবাদী আচরণ করেছে, তাই আমি তাকে আঘাত করেছি।
এই ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকারের দাবি- বর্ণবাদের এই ঘটনায় ‘শক্তভাবে সমর্থন’ দিচ্ছে তার ক্লাব পিএসজি। ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সমাজ, ফুটবল বা আমাদের জীবনে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। ঘটনাটির তদন্ত এবং সত্য তুলে আনার জন্য তারা ফ্রেঞ্জ গর্ভনিং বডির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পিএসজির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মার্শেইও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গনসালেস বর্ণবাদী নয়। ক্লাবে যোগদানের পর থেকে প্রতিদিনের জীবনাচারের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে সে তা প্রমাণ করেছে। তার সতীর্থরাও ইতোমধ্যে তা জানে।
এদিকে নেইমারকে ফাউল করার জেরে এবার মেরে ফেলার হুমকি পেলেন আলভারো গঞ্জালেজ। দাবি করেছে তার ক্লাব অলিম্পিক মার্শেই কর্তৃপক্ষ।
ফরাসী গণমাধ্যমের দাবি, পিএসজি ম্যাচের পর গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ আনেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। এরপর থেকেই নানাভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে মার্শেইয়ের ডিফেন্ডার এবং তার পরিবারকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে তাকে হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এমন কি তার ব্যক্তিগত ফোনে খুনের হুমকিও এসেছে বলে দাবি ক্লাব কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি ফোনটি ব্রাজিল থেকে করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বিজনেস আওয়ার/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ