ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • 43

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০০৬ সালে কুমিলার চম্পকনগর এলাকায় সেনিটারি মিস্ত্রি রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস এবং ১২ জনকে দণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি রফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৬ সালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পহেলা মে রাতে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনায় রানার বাবা জাহাঙ্গির খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্তে আরও ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিচারক। রায়ে বিচারক সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ৫ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ত্রিশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন।

রায় প্রদানের সময় মোট নয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, তিনজন যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এবং বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত তিনজন হাজির ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড ৪ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনসহ মোট ৬ আসামি পলাতক রয়েছেন।

রায় শেষে মামলার বাদী নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান দীর্ঘ ১৮ বছর পর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

কুমিল্লা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০০৬ সালে কুমিলার চম্পকনগর এলাকায় সেনিটারি মিস্ত্রি রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস এবং ১২ জনকে দণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি রফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৬ সালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পহেলা মে রাতে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনায় রানার বাবা জাহাঙ্গির খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্তে আরও ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিচারক। রায়ে বিচারক সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ৫ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ত্রিশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন।

রায় প্রদানের সময় মোট নয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, তিনজন যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এবং বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত তিনজন হাজির ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড ৪ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনসহ মোট ৬ আসামি পলাতক রয়েছেন।

রায় শেষে মামলার বাদী নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান দীর্ঘ ১৮ বছর পর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

কুমিল্লা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: