বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নারী শ্রমিক হত্যার রহস্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। দুই প্রেমিকের দ্বন্দ্বে প্রেমিক শাকিল শ্বাসরোধে হত্যা করে প্রেমিকা রিনা বেগমকে (৩৭)।
সোমবার (১৯ জুন) ভোরে ভৈরব বাজার কাঠপট্টি এলাকার একটি বাসা থেকে শাকিলকে আটকের পর তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
শাকিলের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই থানা এলাকার লাখাই গ্রামে। তিনি ভৈরবের নিরালা হোটেলে কাজ করতেন। সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শনিবার বিকেলে ভৈরবের কাঠপট্টি এলাকার একটি বাসা থেকে নারী শ্রমিক রিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন নিহতের মামাত ভাই হোটেল শ্রমিক দুলালকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের নকলা থানা এলাকার রিনা বেগম দুই ছেলে ও মামাতো ভাই দুলালকে নিয়ে ভৈরবের কাঠপট্টি এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রিনা বেগম ও তার ছেলে এবং মামাতো ভাই ভৈরবের বিভিন্ন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। শাকিল হোটেল বয় হিসেবে কাজ করার সুবাদে রিনার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাকিল জানতে পারেন দুলালের কথা। এ নিয়ে দুলালের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। শাকিল চেষ্টা করেও রিনা বেগমকে দুলালের কাছ থেকে সরাতে পারেননি।
ঘটনার দিন সকালে এ নিয়ে রিনার সঙ্গে শাকিলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যার পর পালিয়ে যান শাকিল। ঘটনার সময় কেউ বাসায় ছিলেন না। খবর পেয়ে দুলাল ও সন্তানরা বাসায় এসে দেখেন রিনার মরদেহ। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ দুলালকে আটক করে এবং পরে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, দুলালকে আটকের পরই আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি রিনার বাসায় হোটেল শ্রমিক শাকিলের যাতায়াত ছিল। আজ ভোরে শাকিলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে হত্যার নির্মম কাহিনী।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, দুই হোটেল শ্রমিকের প্রেমের বলি হয়েছেন রিনা বেগম। শাকিল ও দুলাল কেউ কাউকে সহ্য করতে পারতেন না। দুজনের সঙ্গে রিনা বেগম গোপনে শারীরিক মেলামেশা করতেন। শাকিল বিষয়টি মেনে না নিয়ে ঘটনার দিন রাগবশত রিনাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুন, ২০২৩/এএইচএ