বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ (১৮)। এ ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের পরিবারের লোকজন।
তারা হলেন মামলার ২ নম্বর আসামি মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন রিয়াদ (২৮) এবং ৩ নম্বর আসামি একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন প্রকাশ মিস্টার (২৮)।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দিনগত রাতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম দুই আসামিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে নবদম্পতি কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় বেড়াতে যান। বেলা ১১টার দিকে বাগানের পাশে ছবি তোলার সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে বাগানের ভেতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী গত রোববার (১৮ জুন) বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেন।
মামলার বাদী বলেন, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর গত ২০ মার্চ আমরা আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করি। সেদিন ঘুরতে গেলে আসামিরা আমাকে বেঁধে রেখে আমার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালায়। আমি ১০ হাজার টাকা, মোবাইলফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি দিয়েও স্ত্রীকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালায়। পরে এলাকার লোকজন ও পরিবারের সহযোগিতার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২৩/এএইচএ