ঢাকা , সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এজিএম করার অনুমতি পেল সিএনএ টেক্সটাইল

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • 72

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : হাইকোর্ট থেকে সম্প্রতি বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) করার অনুমতি পেল সিএনএ টেক্সটাইল। মুলতুবি থাকা বিগত ৫ বছরের এজিএম করার অনুমতি পায় কোম্পানিটি। পাশাপাশি ২০২২ সালের সমাপ্ত বছরের এজিএম করারও রায় দেয় আদালত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ তারিখ, সময় নির্ধারণের ভিত্তিতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানির এজিএম আহবান ও পরিচালনা করার আদেশ দিয়েছে। আদেশ মতে, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিটি তাদের এজিএমগুলো করার কথা।

কোম্পানিটি জানায়, ৬ বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সিএনএ টেক্সটাইল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। মুলতুবি থাকা ৫ বছরের এজিএম পরিচালনার জন্য হাইকোর্টের রায় দিয়েছে। এখন মুলতুবি থাকা এজিএম অনুষ্ঠিত করার জন্য বোর্ড সভার সময়, তারিখ এবং স্থান যথাযথভাবে জানানো হবে।

আরও জানায়, কোম্পানিটির (গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল) উভয় বিভাগের সমস্ত মেশিনসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনও হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার পর উভয় বিভাগে উৎপাদন শুরু হবে।

টেক্সটাইল ট্রায়াল উৎপাদন এবং নতুন মেশিন ২০২২ সালের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সাংবাদিকরা পরিদর্শন করেছিলেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান তার সফরে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল উভয় বিভাগ এক সঙ্গে চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী, পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন কোম্পানির দুটি ইউনিট ঈদের ছুটির পর এক সঙ্গে উৎপাদন শুরু করবে। এটি ৬০০ থেকে ৭০০ জনের একটি কর্মশক্তি দিয়ে শুরু হবে। যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উৎপাদনে ৪০০ ছুঁয়ে যাবে।

সিএনএ টেক্সটাইল প্রতি বছর ৫০ তেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করবে। প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ রপ্তানিমুখী। বর্তমান ব্যবস্থাপনা বকেয়া ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি ঋণ নিয়মিত করেছে। এখন মুলতুবি থাকা এজিএম সমাপ্তির পর কোম্পানিটি সম্পূর্ণরূপে নিয়মিত হয়ে যাবে।

বিজনেস আওয়ার/২১, জুন ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এজিএম করার অনুমতি পেল সিএনএ টেক্সটাইল

পোস্ট হয়েছে : ০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : হাইকোর্ট থেকে সম্প্রতি বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) করার অনুমতি পেল সিএনএ টেক্সটাইল। মুলতুবি থাকা বিগত ৫ বছরের এজিএম করার অনুমতি পায় কোম্পানিটি। পাশাপাশি ২০২২ সালের সমাপ্ত বছরের এজিএম করারও রায় দেয় আদালত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ তারিখ, সময় নির্ধারণের ভিত্তিতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানির এজিএম আহবান ও পরিচালনা করার আদেশ দিয়েছে। আদেশ মতে, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিটি তাদের এজিএমগুলো করার কথা।

কোম্পানিটি জানায়, ৬ বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সিএনএ টেক্সটাইল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। মুলতুবি থাকা ৫ বছরের এজিএম পরিচালনার জন্য হাইকোর্টের রায় দিয়েছে। এখন মুলতুবি থাকা এজিএম অনুষ্ঠিত করার জন্য বোর্ড সভার সময়, তারিখ এবং স্থান যথাযথভাবে জানানো হবে।

আরও জানায়, কোম্পানিটির (গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল) উভয় বিভাগের সমস্ত মেশিনসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনও হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার পর উভয় বিভাগে উৎপাদন শুরু হবে।

টেক্সটাইল ট্রায়াল উৎপাদন এবং নতুন মেশিন ২০২২ সালের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সাংবাদিকরা পরিদর্শন করেছিলেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান তার সফরে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল উভয় বিভাগ এক সঙ্গে চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী, পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন কোম্পানির দুটি ইউনিট ঈদের ছুটির পর এক সঙ্গে উৎপাদন শুরু করবে। এটি ৬০০ থেকে ৭০০ জনের একটি কর্মশক্তি দিয়ে শুরু হবে। যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উৎপাদনে ৪০০ ছুঁয়ে যাবে।

সিএনএ টেক্সটাইল প্রতি বছর ৫০ তেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করবে। প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ রপ্তানিমুখী। বর্তমান ব্যবস্থাপনা বকেয়া ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি ঋণ নিয়মিত করেছে। এখন মুলতুবি থাকা এজিএম সমাপ্তির পর কোম্পানিটি সম্পূর্ণরূপে নিয়মিত হয়ে যাবে।

বিজনেস আওয়ার/২১, জুন ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: