ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • 45

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শুক্রবার (২৩ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচনী বোর্ড বসে। প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে বোর্ডে থাকা অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগটির সভাপতি ড. বখতিয়ার হোসেনের মতবিরোধ হয়। এ সময় চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরে উপাচার্যের অডিও ফাঁসসহ ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ তুলে দুদকে লিখিত আবেদন করেন নিয়োগ প্রার্থী সাহবুব আলম। অভিযোগ আমলে নিয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।

দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের নোটিশে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের সহকারী পরিচালক নীলকমল পালকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং বিধিমালার ২০ বিধিসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা মতে সাক্ষীর বক্তব্য শ্রবণ গ্রহণ প্রসঙ্গে সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারী সাহবুব আলমের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ জুলাই সকাল ১০টায় তাকে কুষ্টিয়া কার্যালয়ে তলব করেছে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা নীলকমল পাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্যকে এখনও চিঠি দেওয়া হয়নি।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের ১৮টি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। গত ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগসংক্রান্ত অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এর ১টিতে টাকার চেক ও মনোনীত প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে কিনা– এ সংক্রান্ত আলাপন শোনা যায়। অন্যটিতে ওই বিভাগের দুই প্রার্থীর কাছে বোর্ডের আগে চেক জামানত রাখা ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত দেখিয়ে টাকা গ্রহণের বিষয়ে উপাচার্যের কথোপকথন শোনা যায়।

নিয়োগ প্রার্থী সাহবুব আলম বলেন, উপাচার্য স্যার অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। ফাঁস হওয়া অডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। সর্বাধিক যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্তসহ দুদকে অভিযোগ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে। এই অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিজনেস আওয়ার/২৪ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শুক্রবার (২৩ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচনী বোর্ড বসে। প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে বোর্ডে থাকা অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগটির সভাপতি ড. বখতিয়ার হোসেনের মতবিরোধ হয়। এ সময় চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরে উপাচার্যের অডিও ফাঁসসহ ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ তুলে দুদকে লিখিত আবেদন করেন নিয়োগ প্রার্থী সাহবুব আলম। অভিযোগ আমলে নিয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।

দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের নোটিশে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের সহকারী পরিচালক নীলকমল পালকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং বিধিমালার ২০ বিধিসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা মতে সাক্ষীর বক্তব্য শ্রবণ গ্রহণ প্রসঙ্গে সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারী সাহবুব আলমের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ জুলাই সকাল ১০টায় তাকে কুষ্টিয়া কার্যালয়ে তলব করেছে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা নীলকমল পাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্যকে এখনও চিঠি দেওয়া হয়নি।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের ১৮টি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। গত ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগসংক্রান্ত অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এর ১টিতে টাকার চেক ও মনোনীত প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে কিনা– এ সংক্রান্ত আলাপন শোনা যায়। অন্যটিতে ওই বিভাগের দুই প্রার্থীর কাছে বোর্ডের আগে চেক জামানত রাখা ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত দেখিয়ে টাকা গ্রহণের বিষয়ে উপাচার্যের কথোপকথন শোনা যায়।

নিয়োগ প্রার্থী সাহবুব আলম বলেন, উপাচার্য স্যার অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। ফাঁস হওয়া অডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। সর্বাধিক যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্তসহ দুদকে অভিযোগ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে। এই অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিজনেস আওয়ার/২৪ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: