ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ উৎসবে শরীরে ব্যথার সমস্যা ও প্রতিকার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • 70

অধ্যাপক ডা. মো. আলী ইমরান : মুসলিম বিশ্বের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই উৎসবে কোরবানির পশুগুলো জবাই করা হয় এবং জবাইকৃত মাংস পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

তবে, ঈদুল আযহার এই আনন্দঘন মুহূর্তেও কোরবানির হাট থেকে আপনার খাবারের প্লেট পর্যন্ত ঘটতে পারে নানা বিপর্যয়, যার মধ্যে রয়েছে পশুগুলোর হাতে জখম হওয়া থেকে শুরু করে হাড় জয়েন্ট ও মাংসপেশির নানারকম ব্যথা-বেদনা।

সমস্যাগুলো হতে পারে- কোরবানির পশু কেনার সময় হাটে, কেনার পর হাট থেকে পশু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে, কোরবানির পশু জবাই এবং এবং চামড়া ছাড়ানোর সময়, মাংস বিলি-বণ্টনের সময় এবং একসাথে অনেক মাংস রান্না করার সময়।

ঈদুল আযহা হলো আনন্দ উৎযাপনের সময়। তবে উৎসবের দিনে ঘটতে পারে এমন সম্ভাব্য বিপদগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি পশুগুলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন যথেষ্ট শারীরিক সক্ষমতা এবং পর্যাপ্ত সতর্কতা। তাই পশুদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ জনবল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব বিভিন্ন ধরনের আঘাত এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথাজনিত সমস্যাগুলো সৃষ্টি করতে পারে।

যে সমস্যা হতে পারে-

কেটে যাওয়া এবং ছিলে যাওয়া : পশুর হাটে সতর্কভাবে চলাচল করা খুবই জরুরি। গরু কিনতে গিয়ে গুঁতো খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া অথবা হাট থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ায় সময় রশির টানে পড়ে গিয়ে হাত-পা থেঁতলে যাওয়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা।

পশু জবাই করার সময়, মাংস কাটার সময় তীক্ষ্ণ ছুরিগুলোর অনুপযোগী হ্যান্ডলিং করলে হাত বা আঙুল কেটে যেতে পারে। আঘাতের ঝুঁকি কমাতে উপযোগী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পিঠ, কোমর এবং ঘাড়ে ব্যথা : সঠিক এবং যথাযথ দেহভঙ্গিমা অনুসরণ না করলে কোরবানির সময় বিশেষ করে জবাইয়ের উদ্দেশ্য কোরবানির পশু শোয়ানোর সময়, মাংস কাটা এবং উঠানোর সময় এবং পরিবহনের সময় পিঠ, কোমর এবং ঘাড়ে ‘স্প্রেইন’ বা ‘স্ট্রেইন’ অথবা মাংসপেশি সংকুচিত হতে পারে। পিঠ, কোমর এবং ঘাড়ের মাংসে অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাতে ওজন ওঠানোর নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত, যেমন হাঁটু ভাজ করে বসে ওঠানো।

ফ্রাকচার এবং ডিসলোকেশন : পশুদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল বা এদের মাধ্যমে সৃষ্ট জখমের কারণে এমনকি ফ্রাকচার বা হাড় ভেঙে যাওয়া অথবা ডিসলোকেশন বা হাড় ছুটে যাওয়ার মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কোরবানির প্রক্রিয়াকরণের সময় একটি নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে এমন ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করা যায়।

পশুদের থেকে রোগ সংক্রমণ : অনেক সময় কোরবানির বেশ কয়েকদিন আগেই পশু কিনে বসতবাড়িতে রাখা হয়।

কোরবানির পশুদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বা তাদের দেহের তরল দ্রব্যের সংস্পর্শে আসলে ‘জ্যুনোটিক ডিজিজ’ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ব্রুসেলোসিস, কিউ ফিভার এবং টিটেনাস ইত্যাদির মতো রোগগুলো পশুর কামড়, গুঁতো বা দূষিত পদার্থ যেমন মল-মূত্র অন্ত্রের বর্জ্য, রক্ত ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সুরক্ষামূলক পোশাক পরিধান এবং যথাসময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে এই সংক্রমণগুলো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

এছাড়াও যাদের রক্তে উচ্চ মাত্রায় ‘ইউরিক এসিড’ আছে বা গেঁটে বাতের রোগীদের গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতার সাথে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

প্রতিকার ও করণীয়-

শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ : কোরবানির প্রক্রিয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যথোপযুক্ত হ্যান্ডলিং পদ্ধতি, সঠিক নিয়মে কাটার সরঞ্জাম ব্যবহার এবং পশুদের আচরণ বোঝার জন্য প্রশিক্ষিত হওয়া উচিত যাতে আঘাতের ঝুঁকি কমানো যায়।

সঠিক দেহভঙ্গিমায় সকল কাজ করা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা : সুরক্ষামূলক সামগ্রী যেমন—গ্লাভস, বুট এবং এপ্রন পরিধান করার মাধ্যমে কেটে যাওয়া, ছিলে বা হেঁচড়ে যাওয়া এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। সুরক্ষিত এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ আঘাতের বা ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

যথাযথ সরঞ্জাম : উপযুক্ত এবং ভালো মানের কাটার সরঞ্জাম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ভোঁতা ও অনুপযুক্ত সরঞ্জাম দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস : পশু বা মাংস নিয়ে কাজ শেষ করার পরে সাবান এবং পানিতে হাত ধোঁয়ার মতো স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস অনুশীলনের মাধ্যমে রোগ সংক্রমণের প্রসার প্রতিরোধ করা যায়।

ঈদুল আযহার ধর্মীয় উদারতা এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, এই উৎসবমুখর পরিবেশ নিরবচ্ছিন্ন ও বিপর্যয় মুক্ত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ এবং সুস্থভাবে ঈদুল আযহা উৎযাপন করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস অনুশীলন, সঠিক দেহভঙ্গিমায় সকল কাজ সম্পাদন করা ও এসমস্ত তথ্য সবার কাছে প্রচার করা অতীব জরুরি। সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা আর যথাযথ নির্দেশিকা মেনে উৎসব পালনই নিশ্চিত করবে একটি আনন্দময়, আঘাত-মুক্ত ও উৎসব মুখর ঈদুল আযহা!

অধ্যাপক ডা. মো. আলী ইমরান ।। ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বিজনেস আওয়ার/২৮ জুন, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঈদ উৎসবে শরীরে ব্যথার সমস্যা ও প্রতিকার

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

অধ্যাপক ডা. মো. আলী ইমরান : মুসলিম বিশ্বের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই উৎসবে কোরবানির পশুগুলো জবাই করা হয় এবং জবাইকৃত মাংস পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

তবে, ঈদুল আযহার এই আনন্দঘন মুহূর্তেও কোরবানির হাট থেকে আপনার খাবারের প্লেট পর্যন্ত ঘটতে পারে নানা বিপর্যয়, যার মধ্যে রয়েছে পশুগুলোর হাতে জখম হওয়া থেকে শুরু করে হাড় জয়েন্ট ও মাংসপেশির নানারকম ব্যথা-বেদনা।

সমস্যাগুলো হতে পারে- কোরবানির পশু কেনার সময় হাটে, কেনার পর হাট থেকে পশু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে, কোরবানির পশু জবাই এবং এবং চামড়া ছাড়ানোর সময়, মাংস বিলি-বণ্টনের সময় এবং একসাথে অনেক মাংস রান্না করার সময়।

ঈদুল আযহা হলো আনন্দ উৎযাপনের সময়। তবে উৎসবের দিনে ঘটতে পারে এমন সম্ভাব্য বিপদগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি পশুগুলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন যথেষ্ট শারীরিক সক্ষমতা এবং পর্যাপ্ত সতর্কতা। তাই পশুদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ জনবল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব বিভিন্ন ধরনের আঘাত এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথাজনিত সমস্যাগুলো সৃষ্টি করতে পারে।

যে সমস্যা হতে পারে-

কেটে যাওয়া এবং ছিলে যাওয়া : পশুর হাটে সতর্কভাবে চলাচল করা খুবই জরুরি। গরু কিনতে গিয়ে গুঁতো খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া অথবা হাট থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ায় সময় রশির টানে পড়ে গিয়ে হাত-পা থেঁতলে যাওয়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা।

পশু জবাই করার সময়, মাংস কাটার সময় তীক্ষ্ণ ছুরিগুলোর অনুপযোগী হ্যান্ডলিং করলে হাত বা আঙুল কেটে যেতে পারে। আঘাতের ঝুঁকি কমাতে উপযোগী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পিঠ, কোমর এবং ঘাড়ে ব্যথা : সঠিক এবং যথাযথ দেহভঙ্গিমা অনুসরণ না করলে কোরবানির সময় বিশেষ করে জবাইয়ের উদ্দেশ্য কোরবানির পশু শোয়ানোর সময়, মাংস কাটা এবং উঠানোর সময় এবং পরিবহনের সময় পিঠ, কোমর এবং ঘাড়ে ‘স্প্রেইন’ বা ‘স্ট্রেইন’ অথবা মাংসপেশি সংকুচিত হতে পারে। পিঠ, কোমর এবং ঘাড়ের মাংসে অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাতে ওজন ওঠানোর নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত, যেমন হাঁটু ভাজ করে বসে ওঠানো।

ফ্রাকচার এবং ডিসলোকেশন : পশুদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল বা এদের মাধ্যমে সৃষ্ট জখমের কারণে এমনকি ফ্রাকচার বা হাড় ভেঙে যাওয়া অথবা ডিসলোকেশন বা হাড় ছুটে যাওয়ার মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কোরবানির প্রক্রিয়াকরণের সময় একটি নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে এমন ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করা যায়।

পশুদের থেকে রোগ সংক্রমণ : অনেক সময় কোরবানির বেশ কয়েকদিন আগেই পশু কিনে বসতবাড়িতে রাখা হয়।

কোরবানির পশুদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বা তাদের দেহের তরল দ্রব্যের সংস্পর্শে আসলে ‘জ্যুনোটিক ডিজিজ’ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ব্রুসেলোসিস, কিউ ফিভার এবং টিটেনাস ইত্যাদির মতো রোগগুলো পশুর কামড়, গুঁতো বা দূষিত পদার্থ যেমন মল-মূত্র অন্ত্রের বর্জ্য, রক্ত ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সুরক্ষামূলক পোশাক পরিধান এবং যথাসময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে এই সংক্রমণগুলো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

এছাড়াও যাদের রক্তে উচ্চ মাত্রায় ‘ইউরিক এসিড’ আছে বা গেঁটে বাতের রোগীদের গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতার সাথে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

প্রতিকার ও করণীয়-

শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ : কোরবানির প্রক্রিয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যথোপযুক্ত হ্যান্ডলিং পদ্ধতি, সঠিক নিয়মে কাটার সরঞ্জাম ব্যবহার এবং পশুদের আচরণ বোঝার জন্য প্রশিক্ষিত হওয়া উচিত যাতে আঘাতের ঝুঁকি কমানো যায়।

সঠিক দেহভঙ্গিমায় সকল কাজ করা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা : সুরক্ষামূলক সামগ্রী যেমন—গ্লাভস, বুট এবং এপ্রন পরিধান করার মাধ্যমে কেটে যাওয়া, ছিলে বা হেঁচড়ে যাওয়া এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। সুরক্ষিত এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ আঘাতের বা ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

যথাযথ সরঞ্জাম : উপযুক্ত এবং ভালো মানের কাটার সরঞ্জাম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ভোঁতা ও অনুপযুক্ত সরঞ্জাম দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস : পশু বা মাংস নিয়ে কাজ শেষ করার পরে সাবান এবং পানিতে হাত ধোঁয়ার মতো স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস অনুশীলনের মাধ্যমে রোগ সংক্রমণের প্রসার প্রতিরোধ করা যায়।

ঈদুল আযহার ধর্মীয় উদারতা এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, এই উৎসবমুখর পরিবেশ নিরবচ্ছিন্ন ও বিপর্যয় মুক্ত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ এবং সুস্থভাবে ঈদুল আযহা উৎযাপন করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস অনুশীলন, সঠিক দেহভঙ্গিমায় সকল কাজ সম্পাদন করা ও এসমস্ত তথ্য সবার কাছে প্রচার করা অতীব জরুরি। সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা আর যথাযথ নির্দেশিকা মেনে উৎসব পালনই নিশ্চিত করবে একটি আনন্দময়, আঘাত-মুক্ত ও উৎসব মুখর ঈদুল আযহা!

অধ্যাপক ডা. মো. আলী ইমরান ।। ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বিজনেস আওয়ার/২৮ জুন, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: