বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুটনীতিবিদ, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনের সভাপতি, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সফল স্পীকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১০ জুলাই)। তাঁর পুণ্য স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ।
স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই স্মৃতি পরিষদ একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। মরহুম স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সংগঠনের কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টায় সিলেটের শাহজালাল দরগায় মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেট শহরের দরগা গেইটস্থ রশিদ মঞ্জিলে। পিতা আব্দুর রশিদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধান সভার সদস্য এবং মাতা সিরাজুন নেছা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে কূটনৈতিক অঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখেন সিলেটের বনেদি পরিবারের সন্তান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। ওই সময় তিনি নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে ভারতের সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে তিনি ১৯৭৫ সালে ভূমিকা রাখেন।
যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ৪০টিরও অধিক দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি একাধারে রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং সবশেষে মহান জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১০ই জুলাই তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিলেট-১ আসনের এমপি থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর বরেণ্য এ রাজনীতিবিদ সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গনে চিরনিদ্রায় শায়িত হন।
ক্রোড়পত্র

বিজনেস আওয়ার/১০ জুলাই, ২০২৩/এমএজেড