আমিরুল ইসলাম নয়ন:
চাঁদাবাজদের একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাকে হেয় করতে মিথ্যা সংবাদ করছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম । তিনি বলেন, দেশের একটি চক্র আমার বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছে। সেটা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অসত্য সংবাদ প্রকাশ করছে। ‘অবৈধ কিছু করার ইচ্ছে থাকলে কেউ কি দেশে টাকা ফিরিয়ে আনে’,-প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আমি ২০২১ সালে জজ কোর্টে মামলা করে টাকা আদালতে জমা দিয়ে দিয়েছি। আদালত যার টাকা তাকে বুঝিয়ে দেবে। আর এটা তিন চার বছর আগের ঘটনা। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে মিথ্যা, বানোয়ট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে যাচ্ছে। তাদেরকে চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রচার করে আমাকে হেয় করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপকাল তিনি এসব কথা বলেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে আমি অর্থ পেয়েছি বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) একটি খবর প্রকাশ করেছে, যেটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে একটি বৈধ ইজারা চুক্তির অধীনে অগ্রিম ভাড়া, নিরাপত্তা জামানত এবং অগ্রিম নির্মাণ ব্যয় বাবদ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯২৪ ডলার আমার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। এটা আমি বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে এ টাকা এনেছি। আমার যদি খারাপ উদ্দেশ্য থাকতো, তাহলে আমি এই টাকা দেশে আনতাম না। অবৈধ কিছু করার উদ্দেশ্য থাকলে বিদেশে টাকা পাচার করতাম বা হুন্ডি করতাম।
বিজনেস আওয়ার/এন/আন