বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (পটুয়াখালী) : কয়েকদিন আগেও ইলিশের তেমন চাহিদা ছিল না। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে তেমন ইলিশের দেখা মিলছে না। হঠাৎ ইলিশ কম ধরা পড়ায় চাহিদা বেড়েছে। এ নিয়ে মন খারাপ জেলেদের। তবে কম ধরা পড়ায় ইলিশের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
জেলেরা জানান, সাগরে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়বে ইলিশ একথা সত্যি নয়। মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই ইলিশের দেখা মিলছে না। যেমন এখন তেমন ইলিশ ধরা পড়েছে না। অথচ কয়েকদিন আগেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিল।
ইলিশ ধরা পড়লে একদিনে লাখপতি। ধরা না পড়লে ট্রলার ভাড়া, তেল এবং যাবতীয় খরচ পকেট থেকে দিতে হয়। কয়েকদিন আগে প্রচুর ইলিশ পড়েছে, তবে এরমধ্যেও অনেক জেলে তেমন ইলিশ পায়নি। এটা ভাগ্যের ব্যাপার, তবুও সবাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, ভাগ্যের পরিবর্তন হতে কতক্ষণ লাগে!
পটুয়াখালীর মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ বিক্রি করতে আসা রাঙ্গাবালীর জেলে মো. বশির বলেন, আমার বোর্ডে ১৫০ মণ ইলিশ ধরে। সাগরে প্রচুর মাছ থাকলেও এখন মিলছেনা। এখন মাছ সংকট, তাই দামও বেশি। আজ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আজ পাইকাররা এসেছেন কিন্তু বাজারে মাছ নেই।
জেলে শহিদুল বলেন, সাগরে মাছ এই আছে এই নেই। কারো জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে আবার পাশের জেলের জালে মাছের দেখা নেই। কেউ কেউ সাগরে এক সপ্তাহ ঘুরেও মাছ পান না। হঠাৎ একদিন দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ। হুট করে সাগরের গভীরে ঝাঁক বেঁধে চলে যায়। যখন ওপরে ওঠে জেলেদের জালে ধরা পরে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ইমদাদুল্লাহ বলেন, সাগরে যে ইলিশ নেই এমন না। নিম্নচাপের কারণে ইলিশ কম ধরা পড়ে। তবে এবছর ছোট মাছ নেই, জেলেদের জালে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে। এসব মাছ গভীর সাগরে থাকে। জেলেদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা বলেন, এই সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা থাকলেও জেলেদের জালে ইলিশের দেখা নেই। হঠাৎ ইলিশের অকাল দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে জেলেরা। কারণ, এখন জেলেদের ঋণশোধ করার সময়। বর্তমানে যে মাছ পড়ছে এতে জেলেরা আরও ঋণগ্রস্ত হচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ