ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • 85

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিত ৮ আসামি হলেন-ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদের মধ্যে হুমায়ন কবির, ননী গোপাল, সাইফুল হাসান, সাইফুল ইসলাম রাজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সফিজ উদ্দিন, কামরুল হোসেন ও মাইনুল হককে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা আট জনের কাছ থেকে সমহারে আদায় করা হবে। আসামি ডিজিএম আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এদিন দণ্ডিত তিন আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দণ্ডিত ৮ আসামির সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত। সেক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এরামুল হক চৌধুরী রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ- পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা।

২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ জুলাই,২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিত ৮ আসামি হলেন-ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদের মধ্যে হুমায়ন কবির, ননী গোপাল, সাইফুল হাসান, সাইফুল ইসলাম রাজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সফিজ উদ্দিন, কামরুল হোসেন ও মাইনুল হককে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা আট জনের কাছ থেকে সমহারে আদায় করা হবে। আসামি ডিজিএম আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এদিন দণ্ডিত তিন আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দণ্ডিত ৮ আসামির সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত। সেক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এরামুল হক চৌধুরী রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ- পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা।

২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ জুলাই,২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: