ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমামালিকদের বাধার মূখে ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ নীতিমালা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • 44

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যানদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালা’ ও ‘করপোরেট এজেন্ট (ব্যাংকাস্যুরেন্স) নির্দেশিকার বিরোধিতা করছে। এ কারণে প্রজ্ঞাপন জারির আগমুহূর্তে এসে আপাতত তা আলোর মুখ দেখছে না নীতিমালা দুটি।

চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিমাপণ্য বাজারজাত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রণয়ন করেছে করপোরেট এজেন্ট (ব্যাংকাস্যুরেন্স) নির্দেশিকা। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিমাপণ্য বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত মঙ্গলবার নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুমোদনের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি পাঠায়।

এ প্রসঙ্গে বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যানদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বিআইএর সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। এটা আপাতত স্থগিত থাকবে।’

বিমা খাতের স্বার্থে আপনারাই তো চেয়েছিলেন এই ব্যাংকাস্যুরেন্স, এখন বিরোধিতা করছেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির বলেন, ‘আমরা যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে এটা হয়নি। এতে সমস্যা আছে।’ কী সমস্যা আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আছে। আমরা বিআইএর পক্ষ থেকে একটা বিজ্ঞপ্তি দেব। তখনই দেখতে পারবেন।’

শেখ কবির হোসেন না বললেও নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলোর রমরমা কমিশন বাণিজ্যই বিরোধিতার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বেসরকারি বিমা কোম্পানির একাধিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন, তাঁরা ব্যাংকাস্যুরেন্স বিষয়টি নিয়ে ‘ধীর গতিতে’ অগ্রসর হচ্ছেন।

অনুমোদিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যাংকাস্যুরেন্স বাস্তবায়িত হবে মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে। আরেক অর্থে বলতে গেলে বিমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ রয়েছে যে বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তুলনামূলক কম, তাই ব্যাংকাস্যুরেন্স হতে পারে মানুষের ভরসার জায়গা।

বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। সে জন্য বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে তাদের। তবে কোনো ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এ জন্য বিমা কোম্পানিকে আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/এন/আন

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিমামালিকদের বাধার মূখে ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ নীতিমালা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যানদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালা’ ও ‘করপোরেট এজেন্ট (ব্যাংকাস্যুরেন্স) নির্দেশিকার বিরোধিতা করছে। এ কারণে প্রজ্ঞাপন জারির আগমুহূর্তে এসে আপাতত তা আলোর মুখ দেখছে না নীতিমালা দুটি।

চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিমাপণ্য বাজারজাত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রণয়ন করেছে করপোরেট এজেন্ট (ব্যাংকাস্যুরেন্স) নির্দেশিকা। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিমাপণ্য বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত মঙ্গলবার নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুমোদনের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি পাঠায়।

এ প্রসঙ্গে বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যানদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বিআইএর সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। এটা আপাতত স্থগিত থাকবে।’

বিমা খাতের স্বার্থে আপনারাই তো চেয়েছিলেন এই ব্যাংকাস্যুরেন্স, এখন বিরোধিতা করছেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির বলেন, ‘আমরা যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে এটা হয়নি। এতে সমস্যা আছে।’ কী সমস্যা আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আছে। আমরা বিআইএর পক্ষ থেকে একটা বিজ্ঞপ্তি দেব। তখনই দেখতে পারবেন।’

শেখ কবির হোসেন না বললেও নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলোর রমরমা কমিশন বাণিজ্যই বিরোধিতার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বেসরকারি বিমা কোম্পানির একাধিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন, তাঁরা ব্যাংকাস্যুরেন্স বিষয়টি নিয়ে ‘ধীর গতিতে’ অগ্রসর হচ্ছেন।

অনুমোদিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যাংকাস্যুরেন্স বাস্তবায়িত হবে মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে। আরেক অর্থে বলতে গেলে বিমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ রয়েছে যে বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তুলনামূলক কম, তাই ব্যাংকাস্যুরেন্স হতে পারে মানুষের ভরসার জায়গা।

বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। সে জন্য বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে তাদের। তবে কোনো ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এ জন্য বিমা কোম্পানিকে আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/এন/আন

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: