ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 40

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অনেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেক কিছু সমালোচনা করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজগুলো করার দরকার ছিল সেটা যথাযথভাবে করা হয়েছে বলেই আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, প্রত্যেকেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অনেক ডাক্তার মারা গেছেন, নার্স মারা গেছেন, স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। তারা কিন্তু সবাই কাজ করেছেন। আমাদের দেশে এক শ্রেণির লোক থাকে, তাদের সমালোচনাটা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলে পরে অনেক কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না।

জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কী বললো, কে কী লিখলো ওইদিকে কান দিলে কোনো কাজ করতে পারবেন না। আপনার নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে, নিজের ওপর আস্থা খাকতে হবে। যে আপনি সঠিক কাজটি করছেন কি না? যদি সেই আস্থাটা থাকে, তাহলে সে কাজের ফল দেশবাসী পাবে, দেশের মানুষ পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ আসবে, কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যাতে কোনোরকম বাধাগ্রস্ত না হয় বা গতিশীল থাকে আমরা যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেওয়া শুরু করলাম এটা কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের আগে দিতে পারেনি। আমরাই প্রথম।

অর্থমন্ত্রণালয় সাধারণত কিছু দিতে গেলে তো হাত টেনে রাখে, কিপটেমি করে। এবারে কিন্তু কিপটেমি করেনি। সবাইকে হাত খুলে যেখানে যেটা দরকার আমরা দিয়ে দিয়েছি। সেভাবে দেওয়া হয়েছে বলেই আজকে আমাদের প্রণোদনা প্যাকজে দিলাম, এ প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকাটা সচল থেকেছে।

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ হিসাবে দিয়েছি। নগদ টাকা দিয়েছি। সরকারি টাকার বাইরে আমি নিজে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দিয়েছি। আর এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি।

এরাই একসময় সমালোচনা করেছিল, এখন সেই ডিজিটাল বাংলাদেশেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার তারা চালাতে থাকবে। সেটা বলুক। আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথে আছি কী না এটা নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। সবাই যখন কাজ করবেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বহুদিন পর সবাইকে একসঙ্গে পেলাম। সে কারণে অনেক লম্বা ভাষণ দিয়ে ফেললাম। আমাদের এই কাজগুলোর জন্য, বিশেষ করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং তার সঙ্গে তার যে ফলাফল, এটা সাধারণ মানুষের কাছেই যাবে। মানুষই এ শুভ ফলটা পাবে। আর আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোট নিয়ে এসেছি, আমরা মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আর আপনারা যারা চাকরি করেন, আপনারাও কিন্তু জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আপনাদের কিন্তু আমাদের চেয়েও অনেক বেশি সময় কাজ করে যেতে হবে। আপনাদের জনসেবা করতে হবে। জনসেবা করাটাই আপনাদের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা পেছনে ফিরব না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব এবং বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবেই গড়ে তুলব। এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।

বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে’

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অনেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেক কিছু সমালোচনা করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজগুলো করার দরকার ছিল সেটা যথাযথভাবে করা হয়েছে বলেই আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, প্রত্যেকেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অনেক ডাক্তার মারা গেছেন, নার্স মারা গেছেন, স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। তারা কিন্তু সবাই কাজ করেছেন। আমাদের দেশে এক শ্রেণির লোক থাকে, তাদের সমালোচনাটা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলে পরে অনেক কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না।

জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কী বললো, কে কী লিখলো ওইদিকে কান দিলে কোনো কাজ করতে পারবেন না। আপনার নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে, নিজের ওপর আস্থা খাকতে হবে। যে আপনি সঠিক কাজটি করছেন কি না? যদি সেই আস্থাটা থাকে, তাহলে সে কাজের ফল দেশবাসী পাবে, দেশের মানুষ পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ আসবে, কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যাতে কোনোরকম বাধাগ্রস্ত না হয় বা গতিশীল থাকে আমরা যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেওয়া শুরু করলাম এটা কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের আগে দিতে পারেনি। আমরাই প্রথম।

অর্থমন্ত্রণালয় সাধারণত কিছু দিতে গেলে তো হাত টেনে রাখে, কিপটেমি করে। এবারে কিন্তু কিপটেমি করেনি। সবাইকে হাত খুলে যেখানে যেটা দরকার আমরা দিয়ে দিয়েছি। সেভাবে দেওয়া হয়েছে বলেই আজকে আমাদের প্রণোদনা প্যাকজে দিলাম, এ প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকাটা সচল থেকেছে।

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ হিসাবে দিয়েছি। নগদ টাকা দিয়েছি। সরকারি টাকার বাইরে আমি নিজে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দিয়েছি। আর এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি।

এরাই একসময় সমালোচনা করেছিল, এখন সেই ডিজিটাল বাংলাদেশেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার তারা চালাতে থাকবে। সেটা বলুক। আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথে আছি কী না এটা নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। সবাই যখন কাজ করবেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বহুদিন পর সবাইকে একসঙ্গে পেলাম। সে কারণে অনেক লম্বা ভাষণ দিয়ে ফেললাম। আমাদের এই কাজগুলোর জন্য, বিশেষ করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং তার সঙ্গে তার যে ফলাফল, এটা সাধারণ মানুষের কাছেই যাবে। মানুষই এ শুভ ফলটা পাবে। আর আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোট নিয়ে এসেছি, আমরা মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আর আপনারা যারা চাকরি করেন, আপনারাও কিন্তু জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আপনাদের কিন্তু আমাদের চেয়েও অনেক বেশি সময় কাজ করে যেতে হবে। আপনাদের জনসেবা করতে হবে। জনসেবা করাটাই আপনাদের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা পেছনে ফিরব না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব এবং বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবেই গড়ে তুলব। এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।

বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: