বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সরকার চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার মে.টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জ্বালানি তেল আমদানিসহ ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৫৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সভাশেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ওই সময়ের জন্য বিপিসি রাষ্ট্রায়ত্ব ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৬ লাখ ৮০ হাজার মে.টন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেল আমদানি করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ মা.ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৮৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ প্রতি ব্যারেল গ্যাস অয়েলের দাম ৮৭.৫৫ মা.ডলার, জেটএ-১: ৮৭.২০ মা.ডলার, মোগ্যাস ৮৮.৩১ মা.ডলার। প্রতি মে.টন ফার্নেস অয়েল ৪৪৩.৮৩ মা.ডলার এবং মেরিন ফুয়েল ৫৬১.১১ মা.ডলার। গ্যাস অয়েল আমদানির পরিমাণ ১০ লাখ ৪০ হাজার মে.টন, জেট এ-১: ১ লাখ ৩০ হাজার মে.টন, ফার্নেস অয়েল ৩ লাখ ৫০ হাজার মে.টন, মোগ্যাস ১ লাখ মে.টন এবং মেরিন ফুয়েল ৬০ হাজার মে.টন।
অতিরিক্ত সচিব আরো জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮০ লাখ (+৫%) লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রির লক্ষ্যে এই ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারি লিমিটেড ২ লিটার পেটজাত বোতলে এই সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার ১৬৩.৯৫ টাকা হিসেবে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বিজনেস আওয়ার/২৭ জুলাই, ২০২৩/পিএস