বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারির মধ্যেই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ ১২ দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বুধবার (২৭ মে) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচিগুলো হলো- ৩০ মে সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় ঢাকায় শেরে বাংলানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শুধু জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুষ্পমাল্য অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপরে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের কয়েকজন বরণ্য বুদ্ধিজীবী ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন বলে জানান মহাসচিব।
তিনি জানান, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভার বিষয়গুলো হলো-, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদ জিয়া',
গণতন্ত্র, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বিএনপি’, শহীদ জিয়া ও উৎপাদন-উন্নয়নের রাজনীতি',
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক সংস্কার’, শহীদ জিয়ার কৃষি বিপ্লব',
নারী ক্ষমতায় ও শিশু কল্যাণ’, কর্মসংস্থান ও শ্রমিক কল্যাণ',
শিক্ষা ও গণশিক্ষা’, পল্লী বিদ্যুত ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন',
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ’, শহীদ জিয়ার বিদেশনীতি' এবং
শহীদ জিয়ার যুব উন্নয়ন’।
প্রতিবছর জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হলেও এবার প্রস্তুত করা খাদ্যের পরিবর্তনে খাদ্যসামগ্রি, বন্ত্র বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এসব সামগ্রি বিতরণকালে কোনো মতেই কোনো সমাবেশ করা যাবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত দুখের সঙ্গে বলছি, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কোনো সমাবেশের মধ্য দিয়ে কোনো জমায়েত করে প্রতিবছরের মতো দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে শাহাদাত বার্ষিকী তা পালন করা সম্ভব হবে না।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনো সমাবেশ বা জমায়েত না করে ভার্চুয়াল ডিসকাশন, কোনো ভার্চুয়াল মিটিং করে আমরা তাকে স্মরণ করব।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের একটা পরিচিতি দিয়েছিলেন এবং তারা যে একটা স্বাধীন স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি সেই স্বপ্ন তৈরি করেছিলেন তিনি। মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন অল্পসময়ের মধ্যে। আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন।
বিজনেস আওয়ার/২৭ মে, ২০২০/এ