ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • 75

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফে ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রী ফারিহাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে একই মাদ্রাসার ছাত্র মো. এরফান। টেকনাফের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রাসায় শিশুটির সঙ্গে বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আটক করেছে র‍্যাব-১৫।

র‍্যাব জানায়, আশুরা উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। অভিযুক্ত এরফানের পিতা মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল হওয়ায় তার হাতে অফিস কক্ষের চাবি ছিল। সে সুযোগ ব্যবহার করে মাদ্রাসায় ধর্ষণের পর ছাত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত এরফান।

নাস্তা খেতে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শিশু ফারিহাকে হত্যা করে এরফান। আটকের পর র‍্যাবের কাছে এমন জবানবন্দি দিয়েছে সে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নেট দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার পিছন থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বাজার থেকে অপহৃত হয় শিশু ফারিহা। এরপর পরিবারের কাছে মোবাইল ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ফোন পেয়ে শিশুটির মা জেসমিন আকতার বিষয়টি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।

এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের অধিনায়ক সৈয়দ সাদেকুল ইসলাম বলেন, অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর র‍্যাবের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত মোহাম্মদ এরফান। সন্দেহভাজন হওয়ায় এরফানকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, হত্যার পর শ্রেণিকক্ষে লাশ রেখে নিহত ফারিহার কাপড়চোপড় নিজের বাড়ির পাশে নালাতে ফেলে দেয় এবং ওইদিন রাত ৩টার দিকে কক্ষ থেকে লাশ বের করে মাদ্রাসার পিছনের নর্দমার পাশে রেখে আসে। পরে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অপহরণের নাটক সাজায় এরফান।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ধর্ষক এরফান একই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গত দুইদিন আগে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের ছেলে হওয়ায় মাদ্রাসায় সহজে যাওয়া আসার সুযোগ ছিল অভিযুক্ত মো. এরফানের। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

বিজনেস আওয়ার/২৯ জুলাই, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফে ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রী ফারিহাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে একই মাদ্রাসার ছাত্র মো. এরফান। টেকনাফের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রাসায় শিশুটির সঙ্গে বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আটক করেছে র‍্যাব-১৫।

র‍্যাব জানায়, আশুরা উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। অভিযুক্ত এরফানের পিতা মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল হওয়ায় তার হাতে অফিস কক্ষের চাবি ছিল। সে সুযোগ ব্যবহার করে মাদ্রাসায় ধর্ষণের পর ছাত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত এরফান।

নাস্তা খেতে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শিশু ফারিহাকে হত্যা করে এরফান। আটকের পর র‍্যাবের কাছে এমন জবানবন্দি দিয়েছে সে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নেট দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার পিছন থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বাজার থেকে অপহৃত হয় শিশু ফারিহা। এরপর পরিবারের কাছে মোবাইল ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ফোন পেয়ে শিশুটির মা জেসমিন আকতার বিষয়টি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।

এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের অধিনায়ক সৈয়দ সাদেকুল ইসলাম বলেন, অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর র‍্যাবের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত মোহাম্মদ এরফান। সন্দেহভাজন হওয়ায় এরফানকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, হত্যার পর শ্রেণিকক্ষে লাশ রেখে নিহত ফারিহার কাপড়চোপড় নিজের বাড়ির পাশে নালাতে ফেলে দেয় এবং ওইদিন রাত ৩টার দিকে কক্ষ থেকে লাশ বের করে মাদ্রাসার পিছনের নর্দমার পাশে রেখে আসে। পরে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অপহরণের নাটক সাজায় এরফান।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ধর্ষক এরফান একই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গত দুইদিন আগে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের ছেলে হওয়ায় মাদ্রাসায় সহজে যাওয়া আসার সুযোগ ছিল অভিযুক্ত মো. এরফানের। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

বিজনেস আওয়ার/২৯ জুলাই, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: