বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় অর্জিত মুনাফার ৩১ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ৬৯ শতাংশ রিজার্ভে রাখা হবে। তবে আগের বছরে এই হার ছিল ৭২ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইবনে সিনার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১২.৪৩ টাকা। এর বিপরীতে পর্ষদ ৩৮.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা এর আগের অর্থবছরে ১০.৭৬ টাকা ইপিএসের বিপরীতে ছিল ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।
কোম্পানিটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১২.৪৩ টাকা হিসেবে মোট ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি ৩.৮৫ টাকা বা ৩৮.৫০ শতাংশ হিসাবে মোট ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা বা মুনাফার ৩০.৯৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আর বাকি ২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ৬৯.০৩ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।
এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে মুনাফার ২৭.৮৬ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে বিতরন করে ইবনে সিনা। তবে এ বছর থেকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ঘোষণার বাধ্যবাধকতার কারনে ইবনে সিনায় লভ্যাংশ ঘোষণা বেড়েছে। আগের বছরের ব্যবসায় অর্জিত ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মুনাফার মধ্যে ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ২৭.৮৬ শতাংশ বিতরন করা হয়েছিল। বাকি ২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৭২.১৪ শতাংশ দিয়ে রিটেইন আর্নিংস বাড়ানো হয়েছিল।
৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ইবনে সিনায় ১১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।
উল্লেখ্য শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইবনে সিনার শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৫২.৩০ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০/আরএ