বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণে প্রথমবারের মতো চীনকে টপকে শীর্ষে উঠে এলো বাংলাদেশ। কয়েক দশক ধরে শীর্ষ স্থানটি চীনের দখলে ছিল।
ইইউর বাজারে গত বছর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৩৩ কোটি কেজির সমপরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।
অন্যদিকে চীন রপ্তানি করছে ১৩১ কোটি কেজির সমপরিমাণ তৈরি পোশাক। গত বছর ইইউতে পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সোমবার (৭ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইইউ গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর ইইউর বাজারে পোশাক আমদানি ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। যদিও চীনের চেয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রপ্তানি মূল্য কেজিপ্রতি ৫ ডলার ৮২ সেন্ট কম। তাতে এই বাজারে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাংলাদেশের তুলনায় ৭২৬ কোটি ডলার বেশি।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। চীনের পোশাকের মূল্য বেড়েছে ৫ শতাংশের কিছু কম। ভিয়েতনামের পোশাকের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। গত বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৩ শতাংশ হারে পোশাকের দাম বেড়েছে।
রপ্তানি হওয়া পোশাকের পরিমাণে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও অর্থের হিসেবে চীনের নিচে রয়েছে। ইইউতে গত বছর চীন ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। দেশটির রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। আর বাংলাদেশ গত বছর রপ্তানি করেছে ২ হাজার ২৮৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি ২০২১ সালের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।
ইইউর বাজারে গত বছর বাংলাদেশ ও চীনের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৯৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে তুরস্ক। এছাড়া ভারত ৪৮৪, ভিয়েতনাম ৪৫৭, পাকিস্তান ৩৯৪, কম্বোডিয়া ৩৮১, মরক্কো ৩১২, শ্রীলঙ্কা ১৬২ ও ইন্দোনেশিয়া ১৩৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।
বিজনেস আওয়ার/০৮ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ