ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের বন্যা কবলিতদের জন্য ৭০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল বরাদ্দ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • 73

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের বন্যা দুর্গত বিভিন্ন উপজেলায় সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের ২১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, টানা পাঁচদিনের ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। সেই ঢলের ফলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগড়া উপজেলা; কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা; বান্দরবানের রামু উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির কিছু জায়গা প্রবলভাবে প্লাবিত হয়। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের মাঠ প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান।

‘গত জুলাই মাসের ৩ তারিখে আমরা প্রত্যেক জেলায় আপদকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায় ২০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রেখেছিলাম। সেই মজুত থেকে দুর্গত এলাকায় তাৎক্ষণিক সহায়তা পৌঁছে যায়।’

এনামুর রহমান বলেন, ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রেরণ করি। আজ আমরা জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে চকরিয়া, পেকুয়া, লোহাগড়ায় ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৭০ লাখ টাকা, ২১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৭০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। একই সঙ্গে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির বোতল দেওয়া হয়েছে।

এখন বৃষ্টি নেই। পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে আর বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

এনামুর রহমান বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আজও ফোন দিয়ে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চট্টগ্রামের বন্যা কবলিতদের জন্য ৭০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল বরাদ্দ

পোস্ট হয়েছে : ০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের বন্যা দুর্গত বিভিন্ন উপজেলায় সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের ২১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, টানা পাঁচদিনের ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। সেই ঢলের ফলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগড়া উপজেলা; কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা; বান্দরবানের রামু উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির কিছু জায়গা প্রবলভাবে প্লাবিত হয়। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের মাঠ প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান।

‘গত জুলাই মাসের ৩ তারিখে আমরা প্রত্যেক জেলায় আপদকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায় ২০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রেখেছিলাম। সেই মজুত থেকে দুর্গত এলাকায় তাৎক্ষণিক সহায়তা পৌঁছে যায়।’

এনামুর রহমান বলেন, ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রেরণ করি। আজ আমরা জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে চকরিয়া, পেকুয়া, লোহাগড়ায় ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৭০ লাখ টাকা, ২১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৭০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। একই সঙ্গে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির বোতল দেওয়া হয়েছে।

এখন বৃষ্টি নেই। পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে আর বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

এনামুর রহমান বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আজও ফোন দিয়ে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: